অবশেষে সত্যি হল জল্পনা, জোড়াফুল শিবিরেই নোঙর ফেলল অর্জুনের নৌকা
সত্যি হল জল্পনা। প্রায় তিন বছর পর আবারও পুরনো দলে প্রত্যাবর্তন অর্জুনের, ঘরে ফিরলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ। বেশ কিছু দিন যাবৎ আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিল অর্জুনের ঘরওয়াপসি। গতকাল ২১মে অর্জুনের করা টুইট এবং আজ সকালের টুইটে কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল তাঁর ঘরে ফেরা। এমনকি ২১মে ব্যারাকপুর ছেয়ে যায় অর্জুনকে স্বাগত জানানোর পোস্টারে। আজ ২২মে বিকেল হতেই সত্যি হল যাবতীয় জল্পনা। বিকেল গড়াতেই সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে পৌঁছে যান অর্জুন। তাঁর হাত থেকেই তুলে নেন দলীয় পতাকা।
এদিন দুপুর গড়াতেই অর্জুন সিংহ রওনা হয়েছিলেন কলকাতার উদ্দেশ্যে। সংবাদমাধ্যমের কাছে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও, ইঙ্গিত বারবার বুঝিয়েছেন দল বদলের কথা।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছু দিন ধরেই বঙ্গ বিজেপি ও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। দিল্লি ডেকে তাঁকে তুষ্ট করার চেষ্টাও করে কেন্দ্রীয় বিজেপি। আজ শেষ লগ্নে আসরে নামেন বিজেপির নম্বর ২ অমিত শাহ। কিন্তু গলানো গেল না সাংসদের মন। কেন্দ্রীয় বিজেপির সব চেষ্টাকে বৃথা প্রমাণ করে তৃণমূল ফিরলেন অর্জুন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলেই দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন অতিবাহিত করেছেন অর্জুন। জন্মলগ্ন থেকে জোড়াফুল শিবিরের শরিক তিনি।তৃণমূলের টিকিটেই ভাটপাড়া কেন্দ্র থেকে একাধিকবার বিধায়ক হয়েছেন। ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্বও সামলেছেন অর্জুন সিংহ। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের ঠিক প্রাক মুহূর্তে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যান তিনি। দিল্লিতে হয় যোগদান, তারপর বিজেপির টিকিটে ব্যারাকপুর লোকসভা আসন থেকে জিতে দিল্লি যাত্রা করেন অর্জুন। তিন বছর ঘুরতে না ঘুরতেই পদ্ম শিবিরে তাঁর মোহভঙ্গ হল। দলীয় কোন্দল, বাংলায় লাগাতার নির্বাচনে পরাজয়ে অনেকটাই ব্যাকফুটে বঙ্গ বিজেপি, এরপর দলের সাংসদের দল বদলে অনেকটাই মুছড়ে পড়ল রাজ্য বিজেপি।