মোদীকে খোঁচা দিয়ে টুইট নুসরতের, রাজনীতির-ময়দানে প্রাসঙ্গিক থাকার চেষ্টা?
২২মে রবিবার হঠাৎই মোদীকে কটাক্ষ করে টুইট করেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান। এরপরেই জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে, নানান মহলে একটাই প্রশ্ন, তবে কি রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন অভিনেত্রী সাংসদ?
এদিন কোন কোন নেটিজেন মনে করিয়ে দিলেন, নিখোঁজ পোস্টারের কথাও। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে তাঁর সংসদীয় এলাকায় নুসরতের নামে নিখোঁজ পোস্টার পড়েছিল। রাজনৈতিক মঞ্চেও দীর্ঘদিন দেখা যায়নি সাংসদকে। হাড়োয়া বিধানসভার চাপাতলা পঞ্চায়েত এলাকায় পোস্টার পড়ে। সেখানে লেখা হয় তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান ‘নিখোঁজ’! দেগঙ্গা ব্লকের হাড়োয়া বিধানসভার চাঁপাতলা পঞ্চায়েতটি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। সোমবার ১৬ মে এই পঞ্চায়েতের কেয়াডাঙা এবং চাপাতলা এলাকায় অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহানের নামে ‘নিখোঁজ’ এবং ‘সন্ধান চাই’ পোস্টার দেখা যায়। কোনও পোস্টারের নিচে লেখা, সাধারণ জনগণ, আবার কোনওটায় লেখা প্রতারিত জনগণ। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির।
অন্যদিকে ২০ মে শুক্রবার বিরোধীদের কটাক্ষ করে মোদী বলেছিলেন, বিরোধীরা রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে ছোট ছোট ঘটনার দিকে তাকিয়ে থাকেন এবং এইভাবেই মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ায় রাজনৈতিক দলগুলি। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের এই অংশটুকু তুলে ধরে টুইট করেছেন তৃণমূল সাংসদ। টুইটে অভিনেত্রী সাংসদ লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই রাজ্য বিজেপির কথা বলছেন।” সেই সঙ্গে আবার মুখ চিপে হাসির ইমোজিও যোগ করেন বসিরহাটের সাংসদ।
এদিন সাংসদের টুইট করার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে শুরু হয়ে জোর চৰ্চা। নেটিজেনেরা সরাসরি প্রশ্নবাণ ছোঁড়েন, এতদিন কোথায় ছিলেন। আবার কি রাজনীতির ময়দানে প্রাসঙ্গিক হওয়ার চেষ্টা করছেন সাংসদ? এই প্রশ্নও তুলতেও ভোলেননি নেটনাগরিকেরা।