৮৩ দিনে ২৫০০ কিলোমিটার! পায়ে হেঁটে লাদাখ জয় হুগলির মিলনের
পূরণ হয়নি অভিযাত্রী হওয়ার স্বপ্ন। কিন্তু স্বপ্ন ছাড়েননি হুগলির কামারকুণ্ডুর মিলন মাঝি। সম্প্রতি তিনি ৮৩ দিনে ২৫০০ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে অতিক্রম করেছেন। হাওড়া থেকে পৌঁছে গিয়েছেন লাদাখ। খারদুংলা গিরিবর্ত্মে রেখে এসেছেন এক বাঙালির স্মৃতিচিহ্ন।
রবিবার ২২মে দুপুরে মিলন বাবু গ্রামে ফিরতেই উপচে পড়েছিল ভিড়। অনেকেই একবার ছুঁয়ে দেখতে এসেছিলেন মিলনবাবুকে। শুধু অভিযাত্রী হওয়াই নয়, পরিবেশ দূষণ নিয়ে পরিবেশ রক্ষার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। রবিবার মিলনবাবুর কথায়, তাঁর একটাই স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি নিজের জীবনের ১০০টি দিন বাজি রেখেছিলাম। সেই সময়সীমার শেষ হওয়ার ১৭ দিন আগেই তিনি স্বপ্নকে ছুঁয়ে ফেলেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, তাঁর অত্যন্ত ভাল লাগছে। তিনি জানান, যেদিন তিনি খারদুংলার বরফে খালি পায়ে এসে দাঁড়ালেন, সেদিন তাঁর মনে হয়েছিল জীবন সার্থক।
তাঁর কথায়, যাত্রাপথের সুন্দর ও বীভৎস দুই অভিজ্ঞতাই হয়েছে। কিন্তু এই সাফল্যে অনেক বাধাও ছিল। চায়ের দোকানের মালিক বাবার সামান্য সন্তান তিনি। কিন্তু অজানাকে জয় করার স্বপ্ন যাঁর বুকে, তাঁকে ঘরে কখনই বেঁধে রাখা যায় না। তাই দুর্গম সৌন্দর্য্যের নেশায় বেরিয়ে পড়লেন মিলন। লকডাউনে তাঁর কারখানার কাজ চলে যাওয়া। তখনই স্বপ্ন পূরণের নেশাটা তাঁর মধ্যে জাঁকিয়ে বসে।
অবশেষে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পথে নেমে পড়েন মিলন। বাবা-মা জানলে বাধা দেবেন, তাই শুধু দাদাকেই জানিয়েছিলেন। হাওড়া থেকে পায়ে হেঁটে শুরু হয় পাহাড়ের যাত্রা। লাদাখের খারদুংলায় গিয়ে তা শেষ করেন। নিজেই পথে রান্না করেছেন, অসুস্থ হলে নিজেই নিজেকেই সারিয়ে তুলেছেন। তিনি পারলেন, জিতলেন! কামারকুণ্ডুর গোপালনগর পশ্চিমপাড়ার বাড়িতে বসে লাদাখ জয়ের তৃপ্তির হাসি হাসলেন মিলন