আর্থিক কারণে শৃঙ্গ জয় করেও স্বীকৃতি অধরা পিয়ালির
জয় হয়ে গিয়েছে শিখর, কিন্তু অনিশ্চিত শৃঙ্গজয়ের শংসাপত্র, স্বীকৃতি অধরা পিয়ালির। নেপালের পাওনিয়ার মাউন্টেনিয়ারিং এজেন্সি সাফ জানিয়ে দিল, বকেয়া টাকা না দিলে জোড়া শৃঙ্গজয়ের শংসাপত্র পাবেন না পিয়ালি। এই মুহূর্তে চন্দননগরের মেয়ে জোড়াশৃঙ্গ জয়ের সাফল্য উদযাপনের পরেও শংসাপত্রের চিন্তায় ঘুম উড়েছে বসাক পরিবার। মঙ্গলবার ২৪ মে রাতে নেপালের ওই এজেন্সি থেকে ফোন আসায় চিন্তায় রয়েছেন পিয়ালি বসাকের মা ও বোনের।
এভারেস্ট এবং লোৎসে শৃঙ্গ আরোহণের চেয়েও এই সমস্যাকে কঠিন মনে করছেন পিয়ালির পরিবার। প্রয়োজন প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা, তারা কেউই এখনও জানেন না এতো টাকা কোথা থেকে আসবে। সাফল্যের স্বীকৃতি নিয়েই সংশয়ে তারা।
মঙ্গলবার রাত থেকে পিয়ালির বাড়ির খুশির পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে। চিন্তায় ঘুমোতে পারেননি পিয়ালির বোন তমালি বসাক। পিয়ালির বাড়িজুড়েই বিষণ্ণতা ও বিষাদের ছবি। সমস্যা সমাধানের পথ কেউই জানেন না। তাদের পরিবারের কথা, সামিট এজেন্সি যা সিদ্ধান্ত নেবে, তাই তারা মেনে নেবেন।
এজেন্সির অন্যতম কর্তা পাসাং শেরপা বুধবার বলেন, তাদের অনেকগুলি কাজ করতে হয়। সবজায়গাতেই টাকার প্রয়োজন। পিয়ালিকে তারা সামিট করতে বাধা দেননি এবং এখন বাড়ি ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রেও কোনও বাধা নেই বলেই জানান তারা। তিনিই বলেন, টাকা না পেলে শংসাপত্র দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, তিনি জানাচ্ছেন সামিট করানোর টাকাতেই তাদের সংসার চালাতে হয়। গত রবিবার বাংলাকে গর্বিত করেছিলেন পিয়ালি। পা রেখেছিলেন বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টে। তার একদিন পরেই বিশ্বের চতুর্থ শৃঙ্গ লোৎসে জয় করেন তিনি। পিয়ালির সাফল্যকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলেই। তবে অর্থের অভাবে সেই সাফল্যের স্বীকৃতি পাওয়া এখন আকুল পাথারে।