গ্ল্যামার দুনিয়ার তরুণীদের জীবনে নেমে আসছে চরম পরিণতি, তালিকা খুঁজলো দৃষ্টিভঙ্গি
১৫-২৭, চলে গিয়েছে ১২ দিন; মাঝেই ঝরে গিয়েছে তিন প্রাণ। রুপোলি দুনিয়ায় বারবার হানা দিচ্ছে মৃত্যু। গ্ল্যামার দুনিয়া ডুবে যাচ্ছে মানসিক অবসাদে, ঘনিয়ে আসছে হতাশা। তাতেই ঘটে যাচ্ছে একের পর এক রহস্য মৃত্যু। আজ সকালেই পাটুলির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় অভিনেত্রী-মডেল মঞ্জুষা নিয়োগীর মৃত দেহ। বিদিশার পরে তার বন্ধুও আত্মঘাতী হলেন। পেশাগত প্রতিযোগিতা, নাকি সম্পর্কের টানাপোড়েন কী কারণে অবসাদে ডুবছেন তরুণীরা? কেন মৃত্যুকেই বেছে নিচ্ছেন তরুণীরা? এর যথার্থ কারণ মনোবিদেরা বলতে পারবেন।
হাল আমলে এবং অতীতে কাদের জীবনে নেমে এসেছে এমন চরম পরিণতি, তাদের সন্ধান করল দৃষ্টিভঙ্গি:
বিদিশা দে মজুমদার:
২০২২-এর ২৫ মে মডেল বিদিশা দে মজুমদারের দমদমের বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের হাতে আসা সুইসাইড নোট অনুযায়ী, বিদিশা লিখেছেন, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। তাঁর কাজের পরিমাণ কমে গিয়েছিল। ওই সুইসাইড নোট অনুযায়ী, ইএমআই, তাঁর ব্যক্তিগত খরচ, বাড়িভাড়া ইত্যাদি চালাতে তাঁর সমস্যা হচ্ছিল। তিনি জানিয়েছেন, নিজের বাড়িতেও তিনি ভাল ছিলেন না। শেষে তিনি লিখেছেন তিনি আত্মহত্যা করেই খুশি।
পল্লবী দে:
চলতি বছর ১৫ মে গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে টেলিপাড়ার অভিনেত্রী পল্লবী দের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর প্রেমিক সাগ্নিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মৃত্যু নাকি আত্মহত্যা? পল্লবীর মৃত্যুর সত্য অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত চালাচ্ছে গড়ফা থানার পুলিশ।
মৌমিতা সাহা:
২০১৮ সালের মার্চে বাংলা টিভি সিরিয়ালের অভিনেত্রী মৌমিতা সাহার টালিগঞ্জের ভাড়া বাড়ি থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অভিনয় জগতে প্রতিষ্ঠা পেতেই দুচোখে স্বপ্ন নিয়ে মৌমিতা কলকাতায় এসেছিলেন, কিন্তু মৃত্যুতেই শেষ হয়ে যায় তাঁর স্বপ্ন।
পায়েল চক্রবর্তী:
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে জলপাইগুড়ির একটি হোটেল থেকে অভিনেত্রী পায়েল চক্রবর্তীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, তিনি একাই শিলিগুড়ি গিয়েছিলেন। সারাদিন ঘরের দরজা না খোলায় হোটেলের কর্মচারীদের সন্দেহ হয়। স্থানীয় থানা থেকে পুলিশ এসে অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।
বিতস্তা সাহা:
২০১৭ সালের অভিনেত্রী বিতস্তা সাহার দেহ উদ্ধার করেছিল গড়ফা থানার পুলিশ। দক্ষিণ কলকাতায় নিজের ফ্ল্যাট থেকেই টলিউড অভিনেত্রীর হাতের শিরা কাটা অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ থাকায়, পুলিশ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকেই হাতের শিরা কাটা এবং গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় বিতস্তা সাহাকে ঝুলতে দেখা যায়। পুলিশের অনুমান ছিল, প্রেমে আঘাত পেয়েই আত্মহত্যার পথকেই হয়ত বেছে নিয়েছিলেন বিতস্তা। পল্লবীর মৃত্যুর মতোই সেই মৃত্যু নিয়েও ঘনিভূত হয়েছিল রহস্য।
দিশা গাঙ্গুলি:
২০১৫-তে পর্ণশ্রীর নিজের ফ্ল্যাটেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন ২৩ বছর বয়সি অভিনেত্রী দিশা গঙ্গোপাধ্যায়। হতাশা থেকেই হয়ত আত্মহননের বেছে নিয়েছিলেন দিশা। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।