উচ্চাশাই ডেকে আনলো অকাল মৃত্যু? কী বলছেন মঞ্জুষার মা
পল্লবী দে, বিদিশা দে মজুমদার, মঞ্জুষা নিয়োগী তালিকায় জুড়ছে একের পর এক নাম। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই তোলপাড় টলিপাড়া! একের পর এক মডেল-অভিনেত্রী জীবনে নেমে আসছে মৃত্যুর ছায়া। শুক্রবার ২৭মে সকালে পাটুলির বাড়ি থেকে অভিনেত্রী-মডেল মঞ্জুষা নিয়োগীর দেহ উদ্ধার হয়। মেয়ের এই পরিণতির জন্যে মঞ্জুষার উচ্চাকাঙ্ক্ষাকেই দায়ী করলেন তাঁর মা।
মঞ্জুষার দেহ উদ্ধার হতেই ভেঙে পড়েছে পরিবার। মৃত্যুর কারণ নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। উচ্চাকাঙ্ক্ষা নাকি পল্লবী ও বিদিশার মতোই সম্পর্কের টানাপোড়েন ডেকে আনলো চরম পরিণতি। একাধিক সহকর্মীর মৃত্যুও মঞ্জুষার ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে।
যদিও মঞ্জুষার মা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ের ব্যক্তিগত জীবনে কোন সমস্যা ছিল না। শুধু মাত্র প্রভূত সম্পত্তির মালিক হওয়ার ইচ্ছেই তাঁর জীবনে মর্মান্তিক পরিণতি নামিয়ে আনলো। এই উচ্চাশাকেই দায়ী করছেন তাঁর মা। তাড়াতাড়ি উপরে ওঠার নেশা, বাড়ি, গাড়ি, টাকা উপার্জনের লোভই তার মেয়েকে কেড়ে নিল।
মঞ্জুষার মা জানিয়েছেন, তিনি মেয়েকে অনেকবার বুঝিয়েছেন কিন্তু ফল হয়নি। বিদিশার সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল এই অভিনেত্রীর। বিদিশার মৃত্যুর খবর ভেঙে পড়েছিলেন। শোনা যাচ্ছে, মঞ্জুষা নাকি তাঁর মাকে বলেছিলেন, বিদিশা ও পল্লবীর মতোই তাঁর পরিণতি হতে চলেছে। বিদিশার মৃত্যুর পর নাকি বলেছিলেন, “আমিও বিদিশার মতো সুইসাইড করব।” যা দেখে অনেকেই গ্ল্যাম দুনিয়ার হতাশা বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
অভিনেত্রীর মা জানিয়েছেন, সল্টলেকের এক যুবকের সঙ্গে আগে মঞ্জুষার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তা স্থায়ী হয়নি। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে সেই সময় আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন অভিনেত্রী। পরবর্তীতে বর্তমান স্বামীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। প্রেম করেই ছয় মাসে আগে বিয়ে করেন মঞ্জুষা। মেয়ের শ্বাশুড়বাড়ি নিয়ে মঞ্জুষার মা জানান, মঞ্জুষার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যন্ত ভাল। তাঁর সাফ কথা নিজের দোষেই মঞ্জুষার এমন পরিণতি হয়েছে। তাঁর দাবি, মেয়ের স্বামী এবং বৈবাহিক সম্পর্কেও কোন সমস্যা ছিল না।