মোতেরার মহারণে বেঙ্গালুরুকে ধরাশায়ী করে ফাইনালে রাজস্থান
আজ গুজরাতের মোতেরা স্টেডিয়াম সাক্ষী থাকল ‘রয়্যাল’ লড়াইয়ের। একদিকে রাজস্থান রয়্যালস। প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আজ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৫৭ রান করে বেঙ্গালুরু। অনায়াসেই এই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে রাজস্থান। রানের ঝড়ে স্তিমিত করে দেয় বেঙ্গালুরুর জয়রথ।
এবার রাজস্থানের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন তকমা। আগামী ২৯ মে ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে গুজরাত টাইট্যান্স এর। প্রথম কোয়ালিফায়ারে রাজস্থান ১৮৮ রান তুলেও হেরে গিয়েছিল গুজরাতের কাছে। ডুবিয়েছিল মূলত বোলিং। আজ সেই গ্লানি মুছে ফাইনালে জায়গা করে নিল এই দল।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু যে প্লে-অফে উঠেছে, এটাই একটা বিস্ময়। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে দিল্লি না হারলে হয়তো আজ গুজরাতে অন্য দল মাঠে নামত। প্লে-অফে জায়গা পাকা হতেই আইপিএল জিততে মরিয়া হয়ে ওঠে বেঙ্গালুরু। গত চোদ্দ বছর ধরে বেঙ্গালুরুর জুটছে শুধুই হতাশা। তিনবার ফাইনালে উঠেও স্বপ্নপূরণ হয়নি। এইবছরও অন্যথা হল না।
আরসিবি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে বিনিময়ে ১৫৭ রান তোলে। সুতরাং, জয়ের জন্য রাজস্থানের দরকার ১৫৮ রান। ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৮ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন শাহবাজ। ২ বলে ১ রান করেন হ্যাজেলউড। ৩টি করে উইকেট নেন প্রসিধ ও ম্যাকয়।
৫.১ ওভারে জোস হ্যাজেলউডের বলে কোহলির হাতে ধরা পড়েন যশস্বী জসওয়াল। ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৩ বলে ২১ রান করে মাঠ ছাড়েন জসওয়াল।
১০.১ ওভারে হার্ষালের বলে বাটলারের সহজ ক্যাচ ছাড়েন দীনেশ কার্তিক। তবে ১১.৪ ওভারে হাসারাঙ্গার বলে সঞ্জু স্যামসনকে স্টাম্প আউট করেন দীনেশ। স্যামসন ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২১ বলে ২৩ রান করে আউট হন। রাজস্থান ১১৩ রানে ২ উইকেট হারায়।
আজকের ম্যাচের হিরো অবশ্যই জোস বাটলার। রাজস্থানের এই তারকা খেলোয়াড় আজ একাকুম্ভের মত লড়াই করেন। শতরানের গণ্ডি পার করেন ৬০ বলেরও কমে।