প্রতিটি ওয়ার্ডে তৈরি হবে বাংলার ডেয়ারির বিপণন কেন্দ্র, উদ্যোগী মমতা
প্রতিটিক্ষেত্রেই সাবলম্বী হওয়ার পথে এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। উৎপাদন শিল্পক্ষেত্রে নজির স্থাপন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এবার বাংলার নিজস্ব ডেয়ারি সংস্থা বাংলার ডেয়ারির প্রসারে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরনির্ভরশীলতা কাটিয়ে যেকোন খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনে রাজ্যকে স্বনির্ভর করাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্য। যা রাজ্য সরকারর শিল্পবিস্তারে সহায়ক মনোভাবের সাক্ষ্য বহন করে।
বাংলাজুড়ে শহরাঞ্চলের প্রতিটি ওয়ার্ডেই বাংলার ডেয়ারির স্টল গড়ে তুলতে চায় রাজ্য সরকার, বাঁকুড়ার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এমনই ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার ডেয়ারির স্টলগুলিতে অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্যও বিক্রি করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। মৎস্য ও পশুপালন বিভাগের সাহায্যে, বাংলার ডেয়ারির স্টলে মাছও মিলতে পারে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলার পুষ্টি এবং বাংলার সৃষ্টি-কে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই ২০২১ সালে বাংলার ডেয়ারি আত্মপ্রকাশ করেছিল। দুগ্ধশিল্পেও নিজস্ব উৎপাদনকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন তিনি। বাংলার ডেয়ারি এখন রাজ্যের গোপালকদের থেকে দুধ কিনছে। ফলে বাজার চলতি অন্যান্য ডেয়ারি সংস্থার তুলনায় বাংলার ডেয়ারিতে দুধের দাম অনেকটাই কম হচ্ছে। বাংলার ডেয়ারিতে এখন দুধ, ঘি, এবং দই মতো দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি হচ্ছে। আগামীদিনে বাংলার ডেয়ারির স্টলগুলিতে দুগ্ধজাত কেক বিক্রিরও নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সরকারি পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, বাংলার ডেয়ারির শুরুর সময় রাজ্য সরকার বাংলার গোপালোকদের থেকে ৪ হাজার লিটার দুধ কিনত। ইতিমধ্যেই তার পরিমাণ বেড়ে ২৩ হাজার লিটারে পৌঁছেছে। বর্তমানে বাংলার ডেয়ারি থেকে প্রতিদিন ১২ হাজার লিটার তরল দুধ বিক্রি হয়। এছাড়াও প্রায় এক হাজার কেজি দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি হয়। বাঁকুড়ার সভা থেকেই বাংলার শহরাঞ্চলের প্রতিটি ওয়ার্ডে এবং গ্রামাঞ্চলে প্রতিটি ব্লকে একটি করে বাংলার ডেয়ারি স্টল খোলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।