নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী! অভিযোগ কমিশনে
আগামী ২৩ জুন ত্রিপুরায় চারটি বিধানসভা আসনে হবে উপনির্বাচন। গত ২৫ মে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আর সেই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই চালু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি। কিন্তু, নিয়মকানুনকে থোড়াই কেয়ার করে মোদী সরকার!
কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের ৮ জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ১০০ দিনের কাজ এবং উজ্জ্বলা যোজনা নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী যে ভার্চুয়াল আলাপচারিতা করেছিলেন তার প্রচার করতে হবে। ৩১ মে থেকে সেই প্রচার শুরু হওয়ার কথা। সেই উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার বিভিন্ন অঞ্চলে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সংবাদপত্রে এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞাপনও প্রকাশিত হয়েছে।
আর এই নির্দেশিকাকে হাতিয়ার করেই ত্রিপুরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ জানিয়েছে সিপিএম। উপনির্বাচনের জন্য ত্রিপুরা পশ্চিম, উত্তর ত্রিপুরা এবং ধলাই জেলায় আদর্শ নির্বাচনী বিধি বলবৎ রয়েছে। তাহলে এই নির্দেশ কেন্দ্রীয় সরকার দিল কীভাবে, প্রশ্ন বিরোধী দলের।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই এইসব প্রকল্পের ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলবেন না। তিনি সাফল্যই প্রচার করবেন। কিন্তু রাজ্যের দু’টি জেলায় সম্পূর্ণভাবে এবং একটি জেলায় অংশত আদর্শ নির্বাচনী বিধি বলবৎ রয়েছে। সেখানে সরকারি প্রচার মাধ্যমকে ব্যবহার করে এই প্রকল্পের প্রচার নির্বাচনী বিধির সপ্তম ধারার ৪ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিধিভঙ্গ।’