শকুনের সংস্কৃতি! কেকে-র মৃত্যুতেও ঘৃণ্য রাজনীতি বাংলার বিরোধী দলগুলির
বলিউডের সংগীতশিল্পী কেকে’র আকস্মিক মৃত্যুতে গোটা দেশ শোকস্তব্ধ। কিন্তু তখনও রাজ্যের বিরোধী দলগুলো তাদের অভ্যাসের বাইরে বেরিয়ে আসতে পারছে না। যথারিতি তারা জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর মৃত্যুর জন্য রাজ্যসরকারকে দোষারোপ করতে শুরু করে দিয়েছে। যেমন, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি’র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, প্রেক্ষাগৃহে যেখানে ৩,০০০ জন মানুষ বসতে পারে সেখানে কেকে’র অনুষ্ঠানে দর্শক সংখ্যা ছিল প্রায় ৭,০০০। তিনি প্রায় তাঁর ভক্তদের ভিড়ে বন্দি হয়েগিয়েছিলেন, যার অর্থ একজন ভিআইপি’র নিরাপত্তা ব্যবস্থায় খামতি ছিল।’’
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীই বা চুপ থাকেন কি করে! লোকসভার বিরোধী নেতা ট্যুইটারে লেখেন, গায়ক কেকে’র দু:খজনক মৃত্যুর পিছনে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত দাবি করছি।’ তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে যে পরিবেশ ছিল তা নিয়ে বিভিন্ন অস্বস্তিকর প্রশ্ন উঠতে পারে। যার মধ্যে উদ্যোক্তাদের সমালোনামূলক অব্যবস্থাপনাও শিল্পীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে বিধাননগর স্যার গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের অনুষ্ঠানে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। এই মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ এখন পরিচনা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে এই শোকের আবহেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে আক্রমণ করেছে এসএফআই।
বিরোধীদের এই ধরণের বক্তব্যের জবাব কড়াভাবে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। দলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপি তাদের শকুনের রাজনীতি বন্ধ করুক এবং এই দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু নিয়ে তারা রাজনীতি বন্ধ করুক।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তাঁর মৃত্যু সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক এবং দু:খজনক। কিন্তু বিজেপি এই মৃত্যুকে ঘিরে যা করছে তা নতুন কিছু নয়। গেরুয়া শিবির তাদের শকুন মার্কা রাজনীতি বন্ধ করুন এবং মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করা বন্ধ করুক। আমরা এতটুকুও অবাক হব না যদি এখন বিজেপি দাবি করে কেকে তাদের দলের নেতা।’’
এদিকে কেকে’র মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচী কাটছাট করে বুধবার সকালেই কলকাতায় ফিরে এসেছেন। রবীন্দ্রসদনে রাজ্যসরকারের তরফে গান স্যালুট দেওয়া হয় প্রয়াত সংগীতশিল্পীকে।