অকালে চলে গেলেন কেকে, কেন বাড়ছে হৃদরোগ?
অকালেই চলে গেলেন গায়ক কৃষ্ণকুমার কুনাথ ওরফে কেকে। বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে গানের অনুষ্ঠান ছিল তাঁর। শো এর পর হোটেলে ফিরে যান তিনি। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবিলম্বে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ডাক্তারদের অনুমান, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে কেকে-র।
স্বভাবতই মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে, কেন বাড়ছে হৃদরোগের ঘটনা? কেন কম বয়সে হার্টের সমস্যায় ভুগছেন মানুষ? আসলে, হৃদ্রোগের কোনও বয়স নেই। যে কোনও বয়সেই হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু, ছেলেদের ৪৫ বছর বয়সের পর এবং মেয়েদের ৫৫ বছর বয়সের পর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ইদানীং কমবয়সিদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাক বেড়েছে।
এই বিষয়েই দৃষ্টিভঙ্গি যোগাযোগ করেছিল কার্ডিও থোরাসিক সার্জেন ডাঃ সত্যজিৎ বসুর সাথে। তাঁর বক্তব্য, হার্ট অ্যাটাক যে কারও যে কোনও সময়ে হতে পারে। এর সাথে ভিড় বা এসির কোনও যোগ নেই। সত্যজিৎ বাবুর আরও বক্তব্য, সিগারেট এবং রিফাইন্ড চিনি হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করে। কেকে-র জীবনযাপন সম্পর্কে উনি জানেন না, তাই বলতে পারবেন না কেন কেকে-র অকালমৃত্যু ঘটল।
ডাঃ সত্যজিৎ বসুর পুরো সাক্ষাৎকার শুনুন:
হার্ট অ্যাটাকের আগে শরীর জানান দেয়, অবহেলা করবেন না এই লক্ষণগুলো
১। শ্বাস-প্রশ্বাসে যদি কষ্ট হয়, তা হলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে
২। মাত্রাতিরিক্ত ঘাম হওয়া, একটুতেই হাঁপিয়ে যাওয়াও ভালো লক্ষণ না
৩। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যদি দেখেন দরদর করে ঘামছেন, উপেক্ষা করবেন না
৪। বুকে ব্যথা বা চাপ লাগার মতো অনুভূতি হলেই ডাক্তারকে জানান
৫। মেয়েদের ক্ষেত্রে পেটে অস্বস্তি, পিঠে ব্যথার মত লক্ষণ দেখা যায়