ত্রিপুরা উপনির্বাচনে শক্ত আসনে বিজেপির মানিক সাহা, চার আসনেই প্রার্থী তৃণমূলের
২৩ জুন ত্রিপুরার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। আগরতলা, বরদৌলি, যুবরাজনগর এবং সুরমা এই চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সুদীপ রায়বর্মন, আশিস দাস এবং আশিস সাহা-এই তিন বিজেপি বিধায়ক দল ছাড়ায় ও যুবরাজনগরের সিপিএম বিধায়ক রমেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথের মৃত্যু হওয়ায় ত্রিপুরায় এই চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি, সিপিআইএম, তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস সব রাজনৈতিক দলই নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করে নিতে চাইছে। তবে এই উপনির্বাচন সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা’র কাছে।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বিপ্লব দেবকে সরিয়ে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে গেলে তাঁকে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হতেই হবে। ফলে এবার উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী করছে মানিক সাহাকে। তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে বরদৌলি সদর কেন্দ্র থেকে। আর এই কেন্দ্র থেকেই ২০১৮ সালে বিজেপি’র প্রতিকে নির্বাচনে জিতে বিধানসভায় গিয়েছিলেন আশিসকুমার সাহা। তিনি কয়েকমাস আগে সুদীপ রায়বর্মনের সঙ্গে বিজেপি ছেড়েছিলেন। ফলে ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহল মনে করছে এই আসনটি থেকে মানিক সাহাকে জিতিয়ে আনার বিষয়ে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
অন্যদিকে আগরতলা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে অশোক সিনহাকে। এই আগরতলা কেন্দ্র থেকে ২০১৮ সালে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন সুদীপ রায়বর্মন। যিনি এখন কংগ্রেসে। বাম আমলেও সদীপ আগরতলা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের হয়ে জিততেন। ফলে আগরতলা কেন্দ্রটি বলা যায় সুদীপের খাস তালুক। ফলে বরদৌলি এবং আগরতলা দুটি কেন্দ্রই বিজেপির কাছে কার্যত দুর্গ রক্ষা করার লড়াই।
ত্রিপুরার আসন্ন এই উপনির্বাচনে চারটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বরদৌলি কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে নীলকমল সাহাকে। আগরতলা পৌর নিগমের নির্বাচনে এর আগে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। সুরমা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন অর্জুন দাস, যুবরাজনগর থেকে তৃণমূলের টিকিটে লড়বেন দলের তরুণ মুখ মৃণালকান্তি দেবনাথ। আগরতলা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন পান্না দেব। ইতিমধ্যেই চার কেন্দ্রে প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নো ভোট টু বিজেপি স্লোগান ব্যবহার করা হচ্ছে ভোটের প্রচারে।