একাদশে পড়ুয়াদের আসনবৃদ্ধি সামাল দিতে অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের পথে রাজ্য
মাধ্যমিকে ফল প্রকাশ হতেই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। চলতি বছর একাদশ শ্রেণীতে স্কুলকে বিদ্যালয়কে অতিরিক্ত ১২৫ জন পর্যন্ত পড়ুয়া ভর্তির নির্দেশ দিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। স্কুলগুলো এতদিন একাদশ শ্রেণীতে সর্বোচ্চ ২৭৫ জন পড়ুয়া ভর্তি নিতে পারত, নতুন নির্দেশের পড়ে তা বেড়ে ৪০০ জন হচ্ছে। নয়া নিয়মের কারণে বাড়তে থাকা পড়ুয়াদের মোদি আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষক প্রয়োজন।
নয়া নিয়মের ফলে বাড়তে থাকা পড়ুয়াদের চাপ সামাল দিতেই হয়ত অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের পথে এগোতে পারে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষক ছাড়া উপায়ও নেই। তাই রাজ্যে কয়েক হাজার অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ হতে পারে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
২০২২ সালে মাধ্যমিকে পাশ করেছে প্রায় সাড়ে নলক্ষ পরীক্ষার্থী। প্রতিবারের মতোই এবারেও স্কুলগুলিতে পড়ুয়া ভর্তির চাপ আরও বাড়বে। পড়ুয়া ভর্তির সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে, ফলে আবেদন উপচে পড়ছে। শিক্ষকের অভাব এভাবে পূরণ করা একান্ত প্রয়োজন। পরিকাঠামোগত অভাব হয়ত পূরণ সম্ভব নয়, কিন্তু শিক্ষক সমস্যার সমাধান হবে বলেই মনে করছেন উচ্চ শিক্ষা সংসদ।
উচ্চ শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, ১০ জুন উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের দিন শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সংসদের সদস্যদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যও থাকতে পারেন। প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিকে ৬০ বিষয়ের বিকল্প রয়েছে। নতুন ধরনের বিষয় পড়ানোর জন্য এমনিতেই রাজ্যে অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের রেওয়াজ রয়েছে। একাদশে পড়ুয়াদের আসনবৃদ্ধির কারণে বাড়তি শিক্ষক নিয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে।
শোনা যাচ্ছে, পার্টটাইম, চুক্তির ভিত্তিক এবং অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। তাদের চুক্তির মেয়াদ হবে এক বছরের। স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরাই ক্লাস নেবেন। রাজ্যে চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত শিক্ষকদের বেতন এখন প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার টাকা। আবার অতিথি শিক্ষকেরা ক্লাস প্রতি টাকা পান। রাজ্যের পার্টটাইম শিক্ষকদের বেতনের পরিমাণ গড়ে আট হাজার টাকা। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল প্রতি গড়ে একজন করে অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করলেও; সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে সাত হাজার জনকে নিয়োগ করতে হতে পারে।