রাজ্যের নামে অপপ্রচার, ডায়মন্ড হারবারে দিলীপের বিরুদ্ধে এফআইআর
রাজ্য সরকারকে কুৎসিতভাবে আক্রমণের জের, এবার বিজেপির প্রাক্তন রাজ্যসভাপতির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল ডায়মন্ড হারবার থানায়। প্রসঙ্গত, ডায়মন্ড হারবার শহরের একটি পেট্রল পাম্পের সামনে কদিন আগেই ডায়মন্ড হারবার থানার আর্মড ফোর্সের এএসআই সমীর দাসের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্বভাবতই ওই পুলিশকর্মীর মৃত্যুর কারণ ঘিরে ঘনিয়েছিল রহস্য।
আপাতভাবে প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ তরফে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনাজনিত কোন কারণে ওই এএসআইয়ের মৃত্যু হয়েছে। যদিও এখনও পুলিশি তদন্ত শেষ হয়নি, ফলত সবই প্রায় অনুমান পর্যায়ে। এর মধ্যেই পুলিশ কর্মীর মৃত্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
সাধারণ মানুষের কাছে রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করতে এবং সরকারকে অপদস্ত করার চেষ্টার অভিযোগে সাংসদ দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ডায়মন্ড হারবার থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। জানা গিয়েছে, এফআইআরটি করেছেন ডায়মন্ড হারবার টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও পুরসভার কাউন্সিলর অমিত সাহা। যদিও অমিত বাবুর দাবি, রাজনৈতিক পরিচয়ের জন্য নয়, স্বাধীন দেশে এক সাধারণ নাগরিক হিসেবেই তিনি অভিযোগ করেছেন।
এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন দিলীপ। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে তাঁর রাজ্যে পুলিশও আজ সুরক্ষিত নন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবার মডেলকেও আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপি সাংসদ।
যেখানে পুলিশ কর্মীর মৃত্যুর তদন্ত এখনও চলছে, সেখানে কীভাবে একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে দিলীপ ঘোষ এমন মন্তব্য করলেন, এই প্রশ্নেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন অমিত সাহা। রাজ্যবাসীকে উস্কানিমূলক প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যেই ডায়মন্ড হারবার থানায় এফআইআর করেছেন তিনি। অবিলম্বে অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন অভিযোগকারী।