বেআইনি নির্মাণ থেকে জমি দখল, মোদীর মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ
এবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠল মোদী সরকারের রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলার বিরুদ্ধে। চা বাগানের মধ্যেই বিলাসবহুল প্রাসাদোপম বাড়ির বেআইনি নির্মাণ, সেই সঙ্গেই সরকারি জমি দখল করেই তৈরি হচ্ছে শপিং মল। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে মোদী সরকারের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ৭ জুন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পরেই উত্তরবঙ্গ বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছিল। যদিও বিজেপির সেই বাড়বাড়ন্ত আর নেই! ইতিমধ্যেই পুরভোটে জেলায় জমি হারিয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে, দলের সাংসদের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায়, বেশ চাপে পড়েছে পদ্ম শিবির।
মলয়বাবুর আরও অভিযোগ, চা শ্রমিকদের জন্য কাজ করার নামে আখেড়ে নিজেরাটাই গুছিয়েছেন মোদী সরকারের মন্ত্রী। রাজ্যের মন্ত্রীর স্পষ্ট অভিযোগ, চা বাগানের জমি, রাজ্য সরকারের। রাজ্যই ওই জমি লিজ দিতে পারে। তাহলে কী করে চা বাগানের জমিতে বারলা বাড়ি তৈরি করলেন? প্রশ্ন মন্ত্রীর।
প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ি জেলার এক চা বাগানের মধ্যে জন বারলা বাড়ি বানিয়েছেন বলে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। অন্যদিকে, জেলার বানারঘাট থানার অন্তর্ভুক্ত চামুর্চি বাজারের সরকারি জমি বেআইনিভাবে দখল করে শপিং মল তৈরি করার অভিযোগ রয়েছে বিজেপি সরকারের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, ওই জমিটি একদা রাজ্য পূর্তদপ্তরের নামে নথিভুক্ত ছিল। পরে তা কেন্দ্রের অধীনস্ত বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের কাছে হস্তান্তরিত হয়। সেই জমিতে কী করে শপিং মল গড়ে উঠছে, তার কারণ জানতে চেয়েছিল রাজ্য পূর্তদপ্তর। জেলা প্রশাসন চলতি বছরের মার্চ মাসে সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে। শপিং মল নির্মাণের ছাড়পত্র মোদী মন্ত্রীর কাছে রয়েছে কি না, রাজ্য পূর্তদপ্তর তরফে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনকে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।