ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটে মিতালি যুগের অবসান, অবসর নিলেন ‘মিঠু’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মিতালি রাজ। বুধবার টুইটারে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন মিতালি। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘ছোটবেলাতেই একটা লক্ষ্য স্থির করে নিয়েছিলাম। ভারতের নীল জার্সি পরব। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা আমার কাছে সবচেয়ে সম্মানের ছিল। এই যাত্রাপথে অধিকাংশ সময়টাই ভাল ভাবে কাটিয়েছি। খুব কম সময়ই খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। প্রত্যেকটা অভিজ্ঞতাই আমার কাছে আলাদা ছিল। গত ২৩ বছর আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর, পরিপূর্ণ এবং উপভোগ্য সময় ছিল। সব যাত্রাই এক দিন শেষ হয়। আজ সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি’।
মিতালি আরও লিখেছেন, ‘যত বারই মাঠে ঢুকেছি, ভারতকে জেতানোর জন্য নিজের সেরাটা দিয়েছি। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা সারাজীবন মনে রাখব। মনে হয়, এখন ক্রিকেটজীবন শেষ করার সেরা সময়। আমাদের দলে কিছু তরুণ, প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের হাতে সুরক্ষিত হয়েছে। মহিলা ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল।’
মাতালি জানিয়েছেন, ব্যাট তুলে রাখলেও ক্রিকেটের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে না। কোনও না কোনও ভাবে খেলাটার সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান তিনি। ফলে আগামী দিনে তাঁকে কোচের ভূমিকায় দেখা যাবে বলে অনেকেই মনে করছেন। ১০ বছর বয়সে ক্রিকেটে হাতেখড়ি। বাবা দোরাই রাজ ভারতীয় বিমানবাহিনীর অফিসার ছিলেন। তাঁর ইচ্ছেতেই আদরের মিঠুর ক্রিকেট খেলা শুরু। ভারতের হয়ে তিন ফরম্যাটেই ক্রিকেট খেলেছেন মিতালি।
১৯৯৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের ম্যাচের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাঁর। ২০০১-০২ মরসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক হয় তাঁর। প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচেই শতরান করেছিলেন তিনি। তৃতীয় টেস্টে মাত্র ১৯ বছর বয়সে দ্বিশতরান করেন। ২০০৫ সালে তাঁর মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে।
একাধিক রেকর্ড রয়েছে মিতালি’র নামের পাশে। সবচেয়ে বেশি দিন ভারতকে এক দিনের ক্রিকেট এবং টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। প্রথম মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে এক দিনের ক্রিকেটে ৫০০০ এবং ৬০০০ রান করেন। ক্রিকেট ছাড়াও খব ভাল ভরতনাট্যম নাচ জানেন মিতালি। বই পড়া তাঁর নেশা।