শাঁখের করাত: নুপূরকে শাস্তি দিয়ে দলীয় কর্মীদের রোষের মুখে মোদী-শাহ
মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামিক দেশগুলোর চাপে বিজেপি নেতা নুপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দলকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি। গ্রেপ্তার করা হয়েছে কানপুরের বিজেপি নেতা হর্ষিত শ্রীবাস্তবকে। এদের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে ইসলাম ও নবীকে নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট করার অভিযোগ উঠেছিল।
নুপুর-জিন্দলের পোস্টের পর প্রায় ১৫টি ইসলামিক দেশ ভারতের বিরুদ্ধে সরব হয়। এর মধ্যে ছিল সেই সব দেশ যাদের কাছ থেকে ভারত জ্বালিনি তেল আমদানি করছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এমনিতেই বিশ্বজুড়ে জ্বালানির হাহাকার। এই অবস্থায় সেই সব দেশগুলোকে তুষ্ট রাখতেই মোদী সরকার তৎপর হয়ে ওঠে এবং নিজের দলের হিংসা ছড়ানো নেতাদের শাস্তি দিয়ে সরকারের ইমেজ ফেরানোর চেষ্টা করেছে।
কিন্তু দলের লোকেদের শাস্তি দিতে গিয়ে সমস্যা ঘটেছে দেশের মধ্যেই। বিজেপির আইটি সেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে হিন্দুত্বকে তুলে ধরার। বিজেপি বা দেশের অন্যান্য গোঁড়া হিন্দু সংগঠনগুলি বারে বারে বিজেপি আইটি সেলের তৈরি করা বা অন্যান্য বিদ্বেষমূলক পোস্ট দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হিন্দুত্বের বাণী ছড়িয়েছে, তার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য ধর্মের মানুষকে দাবিয়ে রেখেছে, এরকম অভিযোগ আছে।
নুপুর-নবীনকে শাস্তি দিয়ে এবার দলের নিচুতলার কর্মীদের রোষের মুখে পড়েছে বিজেপির উপরমহল। তাদের বক্তব্য, যে ইসলামের বিরুদ্ধে তারা সামাজিক মাধ্যমে এতদিন সুর চড়িয়েছেন, সেই ইসলামিক দেশগুলোর চাপে পরেই নুপুর-নবীনকে শাস্তি দিচ্ছে মোদী সরকার। অভিযোগ উঠেছে যে তারা এবার অস্তিত্ব সঙ্কটের মধ্যে পরে যাচ্ছেন। তাদের অভিযোগ ইসলামিক দেশগুলোয় হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে দেখা নয়। সেখানে ভারতে যখন হিন্দুরা সংখ্যাগুরু, সেখানে কেন ইসলামিক দেশ গুলোর চাপে হিন্দুদের শাস্তি দেওয়া হবে। এখন দেখার, দলীয় এই সঙ্কট কী করে মেটাবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।