নূপুর শর্মার গ্রেপ্তারের দাবিতে বিভিন্ন প্রদেশে বিক্ষোভ, রাঁচিতে মৃত্যু দুই বিক্ষোভকারীর
বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলা সর্বত্র প্রতিবাদ আন্দোলনে পথে নেমেছে আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার রাঁচিতে পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় আন্দোলনকারীদের। নূপুর শর্মাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আন্দোলনকারীরা। বাধা দিতে গেলে পুলিশকে তাক করে ইটবৃষ্টি শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালটা শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ। লাঠিচার্জও করা হয়। গুরুত আহত হন বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। দশ জনের এখনও চিকিৎসা চলছে বলে সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর।
নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শুক্রবার বিরাট সংখ্যক প্রতিবাদী রাঁচির বড় রাস্তায় জমায়েত করে। মোতায়েত ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনীও। এলাকার দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। সড়ক অবরোধের জেরে আটকে পড়েন বহু যাত্রী।
শুক্রবার দিল্লির জামা মসজিদের বাইরেও শুরু হয় বিক্ষোভ। প্রতিবাদীদের দাবি, পয়গম্বরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় নূপুর শর্মাকে গ্রপ্তার করতে হবে। জামা মসজিদে এদিন প্রার্থনা করতে এসেছিলেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ। জামা মসজিদের শাহি ইমাম আহমেদ বুখরি অবশ্য এই ঘটনার জন্য ‘‘বহিরাগত’দের দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘জামা মসজিদ কর্তৃপক্ষ কোনও বিক্ষোভের ডাক দেননি। মনে হয় এঁরা এমআইএম বা আসাদুদ্দিন ওয়েইসির লোক। কেউ বিক্ষোভ দেখাতে চাইলে দেখাবেন। আমরা তাঁদের সমর্থন করব না।’’ ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক প্রচার চালানোর অভিযোগে গত কালই ওয়েইসির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। শুক্রবারই দিল্লির পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানার বাইরে তার প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন ওয়েইসির সমর্থকেরা। এই ঘটনায় তিরিশ জনকে গ্রেফতারও করা হয়। হায়দরাবাদের মক্কা মসজিদের সামনেও বিক্ষোভ দেখায় ওয়েইসির সমর্থকেরা।