বিধানসভায় সম্প্রীতির গান গেয়ে কিসের ইঙ্গিত দিলেন হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক?
একি কথা শুনি আজ বিজেপি বিধায়কের মুখে। থুড়ি কণ্ঠে। হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশনে গান ধরলেন, ‘‘খ্রিস্ট-হিন্দু-মুসলমান/ সবার মাঝে একই প্রাণ/ মানুষ হয়ে মনুষ্যত্ব ভুলে যেও না/ মানুষের প্রাণে তুমি ব্যথা দিও না।…’’
সর্বধর্ম সমন্বয়ের মন্ত্র বাংলার রন্ধ্রে রন্ধ্রে। কিন্তু বর্তমান সময়ে বাংলার বিভন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তা যাতে বেশি প্রভাব না ফেলে তার জন্য কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভার অন্দরে খোদ বিজেপি বিধায়কের সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়ে গান গাওয়া যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।
অসীম সরকারের গান শুনে আপ্লুত বিধানসভায় উপস্থিত বিধায়করা। তবে এরই সঙ্গে তৃণমূল বিধায়করা তাঁর সঙ্গে রসিকতা করে বলেন, ‘‘এ গান গাইলে আপনাকে দলে রাখবে না। আপনাকে কিন্তু বাদ দিয়ে দেবে।’’ তাতে ওই বিজেপি বিধায়কের মন্তব্য, ‘‘আমি ওসব মানি না। ভাবিও না।’’ তিনি বলেন, ‘‘জন্মের সময় কারও কোনও ধর্ম থাকে না। আমি মানব ধর্মে বিশ্বাসী।’’ সিএএ লাগুর পক্ষে সাওয়াল করে তাঁর সাফ কথা, ‘‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু না করলে ২০২৪এ বিজেপি’র হয়ে ভোট চাইতে পারব না।’’
আর তাঁর এহেন কাজে এদিন অস্বস্তিতে পড়ে যায় বিজেপি। দলের বিধায়কের এদিনের কর্মকাণ্ড নি:সন্দেহে অস্বস্তি বাড়াল বিজেপির। তৃণমূলের অনেক বিধায়ক রসিকতা করে ঘনিষ্ঠ মহলে বলেন, ইস্ অসীম বাবু যদি এই গানটি নূপুর শর্মাদের শোনাতেন, তাহলে বোধহয় দেশ জুড়ে অশান্তির আগুন জ্বলতো না!