পরিত্যক্ত ট্রামের কামরায় বইয়ের বিকিকিনি, এবার বইপাড়ার স্বাদ পাবে দক্ষিণও
কলকাতা শহরের অন্যতম ঐতিহ্যের নাম ট্রাম। ট্রাম ক্যাফে, ট্রাম লাইব্রেরী, ট্রাম মিউজিয়াম, মিষ্টি হাব, ট্রাম ওয়ার্ল্ড অনেক কিছুই দেখে ফেলেছে কলকাতাবাসী। এবার আরও এক নতুন জিনিস নিয়ে নবকলেবরে হাজির হচ্ছে কলকাতার ট্রাম। ট্রামের সঙ্গে যুগলবন্দীর নবতম সংযোজন হতে পারে বইপাড়া। তেমনই সম্ভবনার করা শোনা যাচ্ছে।
কলেজ স্ট্রিটের মতোই বইপাড়ার স্বাদ পাবে দক্ষিণও। পরিত্যক্ত পড়ে থাকা ট্রামের কামরায় তৈরি হবে বইয়ের দোকান। এর ফলে একদিকে যেমন বাতিল ট্রাম কাজে লাগানো যাবে, অন্যদিকে বইপ্রেমীদেরও স্বাদ মিটবে। দক্ষিণের বইপিপাসুদের চাহিদাও পূরণ হবে।
এই পরিকল্পনায় রাজ্য পরিবহণ দপ্তর এবং পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডও সামিল হতে চলেছে।যাতায়াতের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই, আপাতত কেবল টালিগঞ্জ ডিপোতে এমন ব্যবস্থা চালু করা হবে। টালিগঞ্জ ডিপোর বইপাড়া জনপ্রিয়তা পেলেই বেহালা ট্রাম ডিপোতেও বইয়ের দোকান দেওয়া হবে। বছর শেষে দোকান মালিককে পরিবহণ দপ্তরকে ভাড়া দিতে হবে।
যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। দপ্তরের কর্তাদের কথায়, গোটা বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে গিল্ডের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকরা ওই ডিপো পরিদর্শন করে ফেলেছেন। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের তরফেও এক প্রস্থ আলোচনা হয়ে গিয়েছে। যদিও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
তবে শোনা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে একেকটি কামরায় একেকটি বুক স্টল গড়া হবে বলেই ভাবা হচ্ছে। অর্থাৎ একটি ট্রামে দুটি বইয়ের দোকান থাকবে। প্রথম দফায় দশটি ট্রামে এমন বইয়ের স্টল দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। পরে প্রয়োজন অনুযায়ী, তা আরও বাড়ানো হতে পারে। বই কিনে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে, বইপ্রেমী ক্রেতাদের জন্য তৈরি হবে ক্যাফেটেরিয়া।
বৃহস্পতিবার ১৬ জুন টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো পরিদর্শনে আসেন পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকরা। আগামী মঙ্গলবার গিল্ড ও পরিবহণ দপ্তরের প্রতিনিধিরা যৌথভাবে ফের টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো পরিদর্শনে করবেন বলেই জানা গিয়েছে। এখন দেখার রূপ বদলে কবে নতুন রূপে হাজির হয় টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো।