অগ্নিপথ আন্দোলনের প্রথম বলি, মোদীর তুঘলকি সিদ্ধান্তে প্রাণ গেল তেলেঙ্গানার যুবকের
অগ্নিপথ আন্দোলনের প্রথম বলি, রক্ত ঝরল এক যুবকের। মোদী সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। শুক্রবার ১৭ জুন সকাল থেকেই বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে দেশের দক্ষিণাংশে। হায়দরাবাদ এবং খম্মাম, নালগোন্ডার মতো জেলায় চলে অবরোধ কর্মসূচি। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে তেলুগুভাষীরাই ভারতীয় সেনায় সংখ্যাগরিষ্ঠ। ব্রিটিশ আমলে মাদ্রাজ রেজিমেন্ট গঠিত হয়েছিল। আজও সেনাবাহিনীতে সেই রেজিমেন্ট রয়েছে। এই রেজিমেন্টের অধীনে থাকা ব্যাটেলিয়নগুলির সেনাদের অধিকাংশরাই তেলঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরেই এই দুই রাজ্যের বাসিন্দারা ভাল সংখ্যায় সেনায় যোগদান করেন।
সেখানেই অগ্নিপথ আন্দোলনের প্রথম প্রাণ ঝরল। শুক্রবার ১৭ জুন দুপুরে সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে ঢুকে পড়ে আন্দোলনকারীরা। দাঁড়িয়ে থাকা একটি যাত্রিবাহী ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সমাল দিতে জনতার উপর সে সময় অন্তত ১৭ রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। তাতেই প্রায় যায় এক যুবকের। মৃত যুবক তেলঙ্গানার ওয়ারঙ্গল জেলার বাসিন্দা বলে সেকেন্দরাবাদ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ১৪ জুন মোদী সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ অগ্নিপথ প্রকল্পের কথা প্রকাশ্যে আনেন। আদপে সেনাবাহিনীতে অস্থায়ী নিয়োগ চালু করছে বিজেপি সরকার। অগ্নিপথ প্রকল্পের আওতায়, সাড়ে ১৭-২১ বছরের তরুণ-তরুণীরা চার বছরের জন্য মাসিক ৩০-৪৫ হাজার টাকা বেতনের চুক্তিতে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখায় অর্থাৎ স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনায় যোগ দিতে পারবেন। এরপরেই রাজ্যে রাজ্যে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। পথে নামেন সাধারণ মানুষ। আগামীতে দেশজুড়ে অগ্নিপথ বিরোধী আন্দোলনের আরও তীব্র আকার ধারণ করার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। অন্ততঃ তেমন দিকেই এগোচ্ছে আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি।