বর্ষায় বেহাল উত্তরবঙ্গ, বন্যা পরিস্থিতি বেশ কিছু জেলায়
শুক্রবার থেকে একটানা বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে। যার জেরে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার শহরের প্রায় ১০-১২ হাজার মানুষ। কালজানি ও তোর্সার জলে প্রায় চারহাজার ঘরবাড়ি প্লাবিত। জলপাইগুড়িতেও তিস্তার জল বাড়ছে। সেখানে হলুদ সংকেত জারি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
প্রশাসনের তরফে শনিবার আলিপুরদুয়ারে ত্রাণ শিবির খোলা হয়। কোচবিহারের মহকুমা শাসক ও পুরসভার চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে সহায়তার আশ্বাস দেন। উত্তরবঙ্গের পাহাড়-সহ সমতলের সবকটি জেলায় গত কয়েকদিন ধরেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। তাতে একাধিক পাহাড় থেকে নামা জল এবং তার সঙ্গে সমতলের বৃষ্টিতে কালজানি, তোর্সা, সঙ্কোশ, রায়ডাক-সহ আলিপুরদুয়ারের ছোট বড় সব নদীর জল বাড়ছে। কালজানির জলে বহু এলাকা প্লাবিত। স্থানীয় মহকুমা শাসক এবং পুরসভার চেয়ারম্যান এদিন নৌকা করে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী ৪৮ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গের এই তিন জলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে সেচদপ্তর। গত ২৪ ঘণ্টায় আলিপুরদুয়ারে ১০২.৪০, হাসিমারায় ২৩১, কোচবিহারে ৫২.২০, মাথাভাঙায় ৬৭.২০, জলপাইগুড়িতে ৭২.৯০, বানারহাটে ৮৬ এবং ময়নাগুড়িতে ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে সেচ দপ্তর সূত্রে খবর।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বৃষ্টির কারণে আলিপুরদুয়ার শহরের আটটি ওয়ার্ডের প্রায় তিন হাজার ঘরবাড়ি জলমগ্ন। জলবন্দি অন্তত আট হাজার বাসিন্দা। কোচবিহারেও তোর্সার জল বেড়ে যাওয়ায় বহু বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে তোর্সা পারের বাসিন্দাদের। শনিবার সেখানেও ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।