প্রবণতা বাড়ছে Sexting-এর, আপনিও করেন?
ব্যস্ত জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত আমরা। কেরিয়ারের ইঁদুরদৌড়ে নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করতে গিয়ে পরিবার, বন্ধুবান্ধব কাউকেই বেশি সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। একাকীত্বের আঁধারে ডুবতে থাকা আধুনিক মানুষের তাই এখন একমাত্র বন্ধু স্মার্টফোন।
ইন্টারনেটের দৌলতে এক ক্লিকেই জোগাড় হয়ে যাচ্ছে ভার্চুয়াল বন্ধুবান্ধব। করা যাচ্ছে মন আদানপ্রদান। এছাড়াও মেটানো যাচ্ছে যৌন চাহিদাও। অবাক হচ্ছেন? আপনি যতই অবাক হোন না কেন নয়া সমীক্ষা অন্তত তেমনই বলছে। কমপক্ষে ৬২ শতাংশ ভারতীয় নারী এভাবেই তাঁদের যৌন চাহিদা মেটাচ্ছেন।
সম্প্রতি ‘Mobile sex-tech apps’ নামের একটি সংস্থা সমীক্ষা করে। তাতে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ওই সংস্থা ১৯১টি দেশের মোট ১ লক্ষ ৩১ লক্ষ মহিলাকে নিয়ে সমীক্ষা করে। তার মধ্যে ২৩ হাজার ৯৩ জনই হলেন ভারতীয়। তাঁদের মধ্যে ৬২ শতাংশ মহিলাই দিনভর Sexting-এ মেতে থাকেন।
অর্থাৎ তাঁরা তাঁদের ভার্চুয়াল সঙ্গীর সঙ্গে যৌনতা মাখানো কথাবার্তা বলেন। সবসময় তাঁরা যে শুধু কথাতেই সীমাবদ্ধ থাকেন তাও কিন্তু নয়। তাঁরা তাঁদের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিও আদানপ্রদান করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মূলত তা নগ্ন ভিডিওই হয়ে থাকে। সমীক্ষায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপের পশ্চিমাংশের মহিলারা গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি Sexting করেন।
শুধু যৌন চাহিদা মেটানোই নয়। অনেক মহিলা আবার অ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের সঙ্গী খুঁজে নিতে পছন্দ করেন। কমপক্ষে ১৯ শতাংশ মহিলা অচেনা পুরুষের সঙ্গে অ্যাপের মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি করতে আগ্রহী। ভারতীয় মহিলাদের অনলাইন যৌনতা মেটানোর প্রবণতা থাকলেও অ্যাপের মাধ্যমে সঙ্গী খোঁজার আগ্রহ অনেকটাই কম।
কিন্তু কেন Sexting-এর প্রবণতা বাড়ছে?
অনেকেই বলছেন ব্যস্ত জীবন তার জন্য দায়ী। কারণ, ব্যস্ততার ফলে অনেকেরই যৌন জীবন ধাক্কা খাচ্ছে। আবার কারও দাবি, যৌনতা শরীরী খেলা হলেও মানসিক তৃপ্তিও অত্যন্ত জরুরি। তাই Sexting ভীষণই ভাল। আবার কারও দাবি, শুধুমাত্র মজার ছলেই ভার্চুয়াল সঙ্গীর সঙ্গে যৌনতায় মেতে ওঠেন তাঁরা।