সিভিল সার্ভিস থেকে দেশের মন্ত্রী – বর্ণময় কেরিয়ার যশোবন্ত সিনহার
১৯৩৭ সালের ৬ নভেম্বর পাটনায় জন্ম হয়েছিল যশোবন্ত সিনহার।
দেশের অন্যতম এই প্রবীণ রাজনীতিক ১৯৫৮ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে স্নাতক হন। পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের সম্পন্ন করেন।
১৯৬০ সালে সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। বিভিন্ন সময়ে দেশের দায়িত্বশীল ২৪ টি প্রশাসনিক পদের কাজ করেছেন তিনি।
চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে ১৯৮৪ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন। জনতা পার্টি থেকে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে হাতেখড়ি। ১৯৮৮ তে রাজ্যসভার সাংসদ হন। ১৯৮৯ সালে তৈরি হওয়া জনতা দলের প্রথম সাধারণ সম্পাদক হন যশবন্ত। ১৯৯০-৯১ চন্দ্রশেখরের মন্ত্রীসভার অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেন।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে ৫৩ বছরের প্রথা ভেঙেছিলেন যশোবন্ত সিনহা। ব্রিটিশ আমল থেকে ইংল্যান্ডের সময়ের সঙ্গে তালমিলিয়ে বিকেলে সাড়ে পাঁচটায় বাজেট পড়া হত। কিন্তু কলোনিয়াল যুগের সেই প্রথা ভাঙেন যশোবন্ত, প্রথম অর্থমন্ত্রী হিসেবে ভারতীয় সময় মেনে সংসদে বাজেট পেশ করেন।
এরপর ১৯৯৮,১৯৯৯, ২০০৯ সালে হাজারীবাগ লোকসভাকেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন। ১৯৯৮ সালে বাজপেয়ী মন্ত্রীসভার অর্থমন্ত্রী হন। এরপর ২০০২ সালে বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ। ২০০৯ সালে বিজেপির সহসভাপতি পদ থেকে ইস্তফা, ২০১৮তে বিজেপি ত্যাগ।
২০২১ সালের ১৩ মার্চ তৃণমূলে যোগ। দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতির পদে আসীন হন যশোবন্ত।
২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল ফরাসি সরকার যশোবন্ত সিনহাকে লিজিয়ন অনারে ভূষিত করে।