অগ্নিপথ বিক্ষোভে বাতিল হওয়া ট্রেনের টিকিটের দাম ফেরত পেতে নাজেহাল যাত্রীরা
কেন্দ্র ঘোষিত অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে গোটা দেশে। এই বিক্ষোভের জেরে একের পর এক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সোমবারও বাতিল করা হয়েছে বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন। মঙ্গলবার পূর্ব রেলের ১২টি ট্রেন বাতিল ও ১১টি দূরপাল্লা ট্রেনের সময়ের পরিবর্তন করা হয়েছে। রালের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেন বাতিলের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমছে।
তবে একেবারে প্রথম দিন থেকে ট্রেন বাতিলে যাত্রীদের দুর্দশা চরমে। যেমন, মোকামা প্যাসেঞ্জার প্রথম থেকেই বাতিল হওয়ায় বহু সাধারণ যাত্রী পড়ে রয়েছেন হাওড়া স্টেশনে। তাদের পরিস্থিতি এখন অত্যন্ত সংকটজনক। পকেটেও টান পড়তে শুরু করেছে ওই যাত্রীদের। জিআরপি’র তরফে হাওড়া স্টেশনে যাত্রীদের খিচুরি খাওয়ানোরও ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে মাঝপথ থেকে ফিরে আসা ট্রেন যাত্রীদের দুর্দশা এখন অবর্ণনীয়। প্রথমত, তাঁরা বহুদিন আগে ট্রেনের টিকিট কেটে যাত্রা করতে পারেননি। দ্বিতীয়ত, কাটা টিকিটের টাকা কবে ফেরত পাবেন তা তারা এখনও বুঝতে পারছেন না। যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে আপ পূর্বা ও লালকুঁয়া এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করে বর্ধমান থেকে হাওড়ায় ফিরিয়ে আনা হয়। ওই ট্রেনগুলির যাত্রীরা টিকিটের টাকা রিফান্ডের ক্ষেত্রে বড় সমস্যায় পড়েছেন। যারা অফ লাইনে অর্থাৎ কাউন্টার থেকে টিকিট কেটেছিলেন, তাঁদের বেশিরভাগই হাওড়া স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট জমা করে টিকিট ডিপোজিট রিসিট (TDR) নেন। এটা জমা দিয়ে তাঁরা টাকা ফেরত পাবেন। তবে যাঁরা অনলাইন টিকিট কেটেছেন, তাঁদের দুরাবস্থা এখন এতটাই যে, এই ধরনের টিডিআর দিতে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, তাঁদের দিতে হবে গার্ড সার্টিফিকেট। ট্রেন মাঝরাস্তা থেকে ফেরার জন্য এই সার্টিফিকেট জরুরি। গার্ড এই রিপোর্ট না দিলেও ট্রেন কনডাক্টর সেই রিপোর্ট দেয়। সচরাচর এমন ঘটনা না ঘটায়, এই বিষয়টি যেমন যাত্রীরা জানেন না, তেমনি রেলও সম্পূর্ণ উদাসীন থেকে গিয়েছে। ফলে যাত্রীরা এখন টিকিটের টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন। ফলে রেলের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন তাঁরা।