যশোবন্তের বিরুদ্ধে কোনও বিরূপ মন্তব্য করা যাবে না, আলিমুদ্দিনকে নির্দেশ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে প্রার্থী হিসেবে যশোবন্ত সিনহার নাম স্থির করা হয়েছে। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি যশোবন্ত সিনহানাকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সমর্থন করায়, বিড়ম্বনায় পড়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। কারণ, বাম-কংগ্রেস, এনসিপি, আরজেডি-সহ সমস্ত বিরোধী দলই যশোবন্ত সিনহাকে সমর্থন জানিয়ে। ফলে এখন ঢোক গেলা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই আলিমুদ্দিনের।
সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যশোবন্ত ইস্যুতে আলিমুদ্দিনকে ‘মুখে কুলুপ’ দেওয়ার কথা বলল। বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে নিয়ে যাতে কোনরকম বিরূপ মন্তব্য করা না হয় সেজন্য রাজ্য নেতৃত্বকে কড়া নির্দেশ পাঠিয়েছে একে গোপালন ভবন। ‘সাম্প্রদায়িক বিজেপি’কে রুখতে যেহেতু সব বিরোধী দলগুলি ঐকমত্যে পৌঁছেছে তখন যেন পার্টির পশ্চিমবঙ্গ শাখা রাষ্ট্রপতি প্রার্থী নিয়ে ভিন্ন পথে না হাঁটে।
রাষ্ট্রপতি প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন প্রথম বৈঠকটি ডেকেছিলেন তখন সেখানে কেন্দ্রীয় সিপিএমের তরফে প্রতিনিধি উপস্থিত থাকা নিয়ে পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানায়েছিল আলিমুদ্দিন। বিষয়টি নিয়ে এদিন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া ছিল স্পষ্ট। তাঁর কথায়, ‘‘বিষয়টি পুরোপুরি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত। এই নিয়ে আমাদের কোনও মন্তব্য করা উচিত নয়।’’
১৬ জুন দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানে ছিল দুই বামপন্থী দল সিপিএম ও সিপিআই। মমতাকে চিঠি দিয়ে বৈঠকে থাকার কথা আগেম জানান ইয়েচুরি। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয় আলিমুদ্দিন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের সঙ্গে কথা না বলায় ইয়েচুরির বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেন আলিমুদ্দিনের কর্তারা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ইয়েচুরি কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও রাজ্য সম্পাদক কোডিয়ারি বালাকৃষ্ণনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলেন। রাজ্যসভায় দলের নেতা এলমারাম করিমকে প্রতিনিধি হিসাবে মমতার ডাকা বৈঠকে পাঠিয়েছিলেন সীতারাম।
সিপিএম সূত্রে খবর, ইয়েচুরিরা মনে করছেন, যশোবন্ত সিনহা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহসভাপতির পদ ছাড়ায় তাঁকে সমর্থনের ক্ষেত্রে পার্টিগত কোনও অসুবিধা রইল না। ফলে সিপিএম শীর্ষনেতৃত্ব আলিমুদ্দিনকে বলেছে, ‘‘নির্দল প্রার্থী যশোবন্ত সিনহাকে সমর্থন করছে পার্টি। তবু প্রাক্তন তৃণমূলী যশোবন্তের বিরুদ্ধে কিছু বিরূপ মন্তব্য করা যাবে না।’’