তৃণমূলের কাননে ফের বৈশাখী হাওয়া? নবান্নে হঠাৎ ভাইরাল জুটি, উস্কে দিলেন জল্পনা
ফের তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। আজ বিকেলে হঠাৎই শোভন এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যায় নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে সাক্ষাৎ করতেই তাঁরা নবান্নে গেছে বলে সূত্রের খবর। মমতার তরফে সবুজ সঙ্কেত মিললেই হতে পারে ঘর ওয়াপসি।
বিজেপির পাট চুকিয়ে কাননে জল আবার ভিড়তে চলেছে ঘাসফুলের ঘটে। জোড়াফুল কাননে ফের লেগেছে বৈশাখী হাওয়া। সূত্রের খবর, ব্যক্তিগত জীবনে টানাপোড়েনের জেরেই রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক। তৃণমূল বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে তাঁর কোনো দূরত্ব তৈরি হয়নি। এবার ক্ষতে প্রলেপ লাগতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূলে থাকাকালীন শোভন ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি। এছাড়া কলকাতার মহানাগরিক তথা রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের ভার সামলান তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে নানা সমস্যার জেরে রাজনীতি-বিমুখ হয়ে পড়েন তিনি। দূরত্ব তৈরি হয় দলের সাথে। এরপর ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দেন শোভন। কিন্তু ২০২১ এর লড়াইয়ে বৈশাখীকে প্রার্থী না করায় গেরুয়া শিবিরের ওপরও তিনি চটেন। এরপর বিজেপি ত্যাগও করেন তিনি।
গত কয়েকমাস যাবৎ রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন শোভন। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে বৈশাখীর সাথে তাঁর সম্পর্কের জেরে ভাইরাল হয়েছেন তিনি। তবে কি এবার সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে চান শোভন?
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলে ফেরার জল্পনা আরও উস্কে দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতার সাথে তাদের রাজনৈতিক আলোচনাই হয়েছে, জানিয়ে দিলেন বৈশাখী। আনুষ্ঠানিকভাবে ফের তৃণমূলে কবে ফিরছেন দু’জনে? তা ‘সময় বলবে’ বলেই জানান তিনি।
এদিন বৈঠকের পর শোভন বলেন, ‘‘মমতাদির লক্ষ্য বাস্তবায়িত করাই আমার কাজ। অনেক দিন পর দিদির সঙ্গে কথা হয়েছে।’’ ভেসে আসে সাংবাদিকের প্রশ্ন, তিনি কি আবার ‘সক্রিয়’ রাজনীতিতে ফিরছেন? শোভনের উত্তর, ‘‘রাজনীতিতে সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় বলে কী আছে আমার জানা নেই। মমতাদির কাছে আসব। চা খাব। এতে আবার জল্পনার কী আছে! ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গা নিশ্চয়ই আমার। কিন্তু রাজনৈতিক কোনও সিদ্ধান্ত, আমার রাজনৈতিক জীবন— সবটাই মমতাকেন্দ্রিক।’’
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রশ্নে শোভন বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে অ্যাপলিটিক্যাল (অরাজনীতিক) কেউ আছে!’’
ইঙ্গিতপূর্ণভাবে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘দিদির নির্দেশ মতোই কাজ করবে শোভন। দিদি-ভাইয়ের মধ্যে থাকা অভিমানের প্রাচীর ভেঙে গিয়েছে।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘বিজেপি থেকে যখন ও বেরিয়ে এসেছিল, তখন অনেকেই ওর রাজনৈতিক অন্ত্যজীবনী (অবিচুয়ারি) লিখে দিয়েছিল। আমি খুশি যে, ও আবার রাজনীতিতে ফিরে আসছে।’’