জোর ধাক্কা বিরোধী শিবিরে, এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করবে জেএমএম
রামনাথ কোবিন্দের পর দেশের রাষ্ট্রপতি কে হবেন, তা নিয়ে এখন চলছে জল্পনা। দেশের ১৬তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৮ জুলাই। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট এবং বিজেপি বিরোধী দলগুলির জোট নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে।
বিজেপি বিরোধী দলগুলির সমর্থনে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হয়েছেন যশোবন্ত সিনহা এবং এনডিএর প্রার্থী হয়েছেন দ্রৌপদি মুর্মু।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে বিজেপি’র প্রয়োজন ছিল ১২০০০ ভোটের। সেই জায়গায় দেখা যাচ্ছে। ওড়িশার জনজাতি সমাজের প্রতিনিধি দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করায় সেখানকার শাসকদল বিজেডির ৩২ হাজার ভোট নিশ্চিত করে নিল গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে একইসাথে ঝাড়খণ্ডের শাসক দল জেএমএম-এর পক্ষ থেকে দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। তাহলে দেখা যাচ্ছে বিজেপির পাল্লা ভারী। অর্থাৎ আগামী রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর নির্বাচিত হওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডের ভূমিপুত্র হলেন যশোবন্ত সিনহা। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের শাসকদল জেএমএম জনজাতি সমর্থিত দল। আবার দ্রৌপদীর পিতৃকূল সোরেন গোষ্ঠীর। উভয় পরিবারের মধ্যে হৃদ্যতাও আছে। হেমন্ত সোরেনের স্ত্রীও ময়ূরভঞ্জ এলাকার। গোষ্ঠীগত দিক থেকে হেমন্ত সোরেনের যশোবন্তকে সমর্থনের ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কারণ, জনজাতিদের দল হিসেবে তারা নিজেদের তিল তিল করে প্রতিষ্ঠা করেছে। ফলে যশোবন্ত সিনহাকে সমর্থন করে তারা জনজাতি গোষ্ঠীর সমর্থন হারাতে চান না।
দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন না করলে রাজ্যের জনজাতি ভোট বিজেপির ঘরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছে জেএমএম। তাই তড়িঘড়ি তাঁরা দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করার কথা জানিয়ে দিয়েছে তারা।