শোভন-বৈশাখী তৃণমূলে ফিরলে তিনি কি মেনে নেবেন? যা জানালেন রত্না
ফের তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়? আজ বিকেলে হঠাৎই শোভন এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যায় নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে সাক্ষাৎ করতেই তাঁরা নবান্নে গেছে বলে সূত্রের খবর। মমতার তরফে সবুজ সঙ্কেত মিললেই হতে পারে ঘর ওয়াপসি।
বিজেপির পাট চুকিয়ে কাননে জল আবার ভিড়তে চলেছে ঘাসফুলের ঘটে। জোড়াফুল কাননে ফের লেগেছে বৈশাখী হাওয়া। সূত্রের খবর, ব্যক্তিগত জীবনে টানাপোড়েনের জেরেই রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক। তৃণমূল বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে তাঁর কোনো দূরত্ব তৈরি হয়নি। এবার ক্ষতে প্রলেপ লাগতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শোভনের প্রাক্তন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় এখন তৃণমূলের বিধায়ক। শোভনের পুরোনো আসন বেহালা পূর্বেরই বিধায়ক তিনি। প্রাক্তন স্বামী ও তাঁর বর্তমান বান্ধবী যদি তৃণমূলে ফেরেন, মেনে নেবেন রত্না? প্রশ্নের উত্তরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এখন আমার কাছে ওঁদের আর কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। তাই ওঁদের নিয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’’ তিনি যোগ করেন, “একবার বৈশাখী ব্যানার্জি বলেছিলেন, তাঁদের কাছে আমার কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। তাই আমার কাছেও ওঁরা অপ্রাসঙ্গিক।”
প্রসঙ্গত, তৃণমূলে থাকাকালীন শোভন ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি। এছাড়া কলকাতার মহানাগরিক তথা রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের ভার সামলান তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে নানা সমস্যার জেরে রাজনীতি-বিমুখ হয়ে পড়েন তিনি। দূরত্ব তৈরি হয় দলের সাথে। এরপর ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দেন শোভন। কিন্তু ২০২১ এর লড়াইয়ে বৈশাখীকে প্রার্থী না করায় গেরুয়া শিবিরের ওপরও তিনি চটেন। এরপর বিজেপি ত্যাগও করেন তিনি।
গত কয়েকমাস যাবৎ রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন শোভন। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে বৈশাখীর সাথে তাঁর সম্পর্কের জেরে ভাইরাল হয়েছেন তিনি। তবে কি এবার সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে চান শোভন?