মহা বিকাশ অগাড়ি সরকারকে বাঁচাতে পারবেন পাওয়ার? কি বলছে পাটিগণিত অঙ্ক
পরিস্থিত, ঘটনাক্রম আর রাজনীতির পাটিগণিত বলছে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি সরকারের পতন ঘনিয়ে এসেছে। মহারাষ্ট্রের মহা বিকাশ অগাড়ি পতন কেবল সময়ের অপেক্ষামাত্র। এখন কেবল ম্যাজিকেই ভরসা, অদৃশ্য শক্তির অলৌকিকতাই ভরসা। এক শিন্দেই ঘুম ছুটিয়েছেন ঠাকরেদের। আসাম থেকেই মহারাষ্ট্র সরকার ফেলার ছক কষছেন শিন্দে।
বিক্ষুব্ধ শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্দের দাবি, তার সঙ্গে ৩৭ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। যদিও শিন্দে শিবির দাবি ৪২ জন বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে আছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। অন্যদিকে, উদ্ধব ঠাকরের ডাকা মুম্বইয়ে বৈঠকে মাত্র ১৩ জন বিধায়ক হাজির হয়েছেন। অংকের হিসেবে উদ্ধবের মুখ্যমন্ত্রী পদ যাওয়া, শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
তবে রাজনীতি কেবল অঙ্ক মেনে চলে না। বৃহস্পতিবার ২৩ জুন সন্ধ্যায় এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের মন্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর মতে, আস্থাভোটই ঠিক করে দেবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা কার সঙ্গে রয়েছে। পওয়ারের এই কথায় নতুন করে হালে পানি পেয়েছে শিবসেনা। বহু যুদ্ধের নায়ক দেশের পোড়খাওয়া দুদে রাজনীতিক পওয়ার কিন্তু শিবসেনা সরকার তৈরির সময় থেকেই খেলা দেখিয়ে আসছেন। প্রসঙ্গত, বিক্ষুব্ধ শিবসেনা বিধায়কদের প্রথমে গুজরাত এবং পরে অসমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এই দুই রাজ্যই বিজেপি শাসিত। ছবি ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে।
কিন্তু আস্থাভোটে কী হবে? শেষ মুহূর্তে পওয়ার কি পাওয়ার দেখাতে পারবেন, রুখে দিতে পারবেন সরকারের অকাল মৃত্যু। শিন্দের মন্তব্য নতুন ফের জল্পনা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, একটি জাতীয় দল তাদের এই বিদ্রোহকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছে তার ওই দল তাদের সমস্ত রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বলাইবাহুল্য জাতীয় দলটি হল বিজেপি। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ দিল্লি পৌঁছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক সারছেন। তবে কি ফের বাণিজ্য নগরীর গদিতে বসবে বিজেপি, নাকি শেষ মুহূর্তে মাঠে নামবেন পাওয়ার, আগামি কয়েকদিনেই তা স্পষ্ট হবে।