রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

যাদবপুরের ছাত্র পেল বহুজাতিক সংস্থায় ২ কোটি টাকার চাকরি, মমতাকে ধন্যবাদ মায়ের

June 25, 2022 | 2 min read

রামপুরহাটের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান বিশাখ মণ্ডল বরাবরই মেধাবী। ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

বাবা কৃষক। মা চাকরি করেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। পরিবারের আয় মেরেকেটে মাসে ১৮-২০ হাজার টাকা। সব ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ওই পরিবারের বার্ষিক আয় পৌঁছে যাবে দু’কোটিতে। না, কোনও লটারি পায়নি পরিবারটি। ওই পরিবারের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছেলে চাকরির ডাক পেয়েছে গুগল এবং ফেসবুক থেকে।

রামপুরহাটের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান বিশাখ মণ্ডল বরাবরই মেধাবী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে টপার। প্লেসমেন্ট-এর অফারের দিক থেকেও এই মুহূর্তে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে টপার। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানাগিয়েছে, এর আগে জনা দশেক পড়ুয়া বার্ষিক এক কোটি টাকা বেতনের চাকরি পেয়েছিল। কিন্তু বিশাখের ক্ষেত্রে টাকার অঙ্কটা প্রায় দ্বিগুণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এটা আমাদের কাছে গর্বের মুহূর্ত। মুখ উজ্জ্বল করেছে বিশাখ। আমাদের পড়ুয়ারা যে আইআইটি’র থেকে পিছিয়ে নেই, এটা তারই প্রমাণ।’’

গুগল নয় ফেসবুককেই বেছে নেওয়ার ইচ্ছা বিশাখের। তার জন্য তাঁকে যেতে হবে লন্ডনে।


ছেলের সাফল্যে খুশি মা শিবানী মন্ডল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, নামমাত্রা টাকায় দেশের অন্যতম সেরা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছেলেকে পড়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কৃতজ্ঞ দিদির (মুখ্যমন্ত্রী) কাছেও। কারণ, ছেলে যদি বিবেকানন্দ স্কলারশিপের টাকা না পেত তাহলে ওকে এত দূরে কলকাতায় রেখে পড়াতে পারতাম না।’’

বিশাখও চাকরি প্রাপ্তির জন্য যাদবপুরের শিক্ষক, প্লেসমেন্ট সেলের অধিকর্তা এবং বন্ধুদের কথা বারবার বলছেন। করোনার পর জীবনধারণের জন্য গত এক বছর ধরে পড়াশোনার পাশাপাশি চারটি সংস্থায় ইন্টার্নশিপ করতে হয়েছে বিশাখকে। এই লড়াই এখন অতীত। এখন তাঁর সামনে তাকানোর পালা। তবে নিজের শিখরকে ভুলতে চান না বিশাখ। তাঁর ইচ্ছা, লন্ডনে একটু থিতু হয়ে মা’কে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#ICDS, #Anganwari, #Mamata Banerjee, #employment

আরো দেখুন