গগনচুম্বী সাফল্য পেল রাজ্যের আম উৎসব, ৩ দিনে বিকিয়েছে ৬০ মেট্রিকটন আম
ফলের রাজা আমের স্বাদ নিতে পকেটের ভয় করে না আমবাঙালি। ২৫ জুন নেতাজি ইন্ডোরে শেষ হয়েছে তিন দিন ধরে চলা আম উৎসব। দেদার বিকিয়েছে আম, পাঁচশো টাকা দরের আমও উধাও। উৎসবের শেষদিনে অর্থাৎ ২৫ জুন সব থেকে বেশি ভিড় হয়েছিল, বলেই জানাচ্ছেন আম ব্যবসায়ীরা।
তিন দিনের উৎসবে প্রচুর মানুষ এসেছেন। নিয়ে গিয়েছেন দেদার আম। প্রথম দিনের পর খানিকটা কমে ছিল দাম, ১০০ টাকা কেজি দরের আম ৫০-৬০ টাকা কেজিতেও বিকিয়েছে। আবার পছন্দের আম কিনতে এসে অনেকেই খালি হাতে ফিরেছেন। শনিবার ২৫ জুন আম উৎসবের শেষদিনে মন পসন্দ আম কেনার বাসনা নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছিলেন অনেক আমপ্রেমী, কিন্তু ফিরেছেন নিরাশ হয়ে। সাধারণ থেকে ভিআইপি সকলেই কমবেশি সেই তালিকায়।
শুরুর দিন ২৩ জুন নদিয়ার রেড পালমার, মুর্শিদাবাদের নবাবি কোহিতুর উৎসবের আসর জমিয়েছিল। ৫০০ টাকায় মিলছিল এক একটি আম, দাম শুনে অনেকেই আঁতেক উঠেছিলেন, এত দামী আম লোক কিনবে তো; ঘনিয়েছিল সিঁদুরে মেঘ। কিন্তু আম বিক্রেতারা বলছেন অন্য কথা। কেনার দাপটে প্রথম দিনেই রেড পালমার ১২০ পিস শেষ হয়ে গিয়েছি। ওদিকে কোহিতুর বিকিয়েছিল ১৫০ পিস। দ্বিতীয় দিনে আমপ্রেমীদের নবাবি আম জোটেনি।
হিমসাগর, ল্যাংড়া, ফজলি, গোলাপখাস, সারেঙ্গা, বিড়া, রানিপসন্দ, মুলায়মজাম, ব্যানানা কিং, মল্লিকা, মোতিচূরসহ প্রায় চল্লিশ প্রজাতির খ্যাত অখ্যাত আম বিকিয়েছে এই তিনদিন। রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দপ্তরের তথ্য বলছে, তিনদিনে ৬০ মেট্রিক টন আম বিক্রি হয়েছে। উৎসবের সাফল্যে ইতিমধ্যেই আগামী বছরের প্ল্যান ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে রাজ্য। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীর কথায়, আগামী বছর আরও আগে এই উৎসব শুরু করবে রাজ্য। আরও বেশি প্রজাতির আম রাখা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
আমের গুণমানের নিরিখে বিভিন্ন জেলাকে পুরস্কার দিয়েছে রাজ্য। ‘অ্যাপিয়ারেন্স’ অর্থাৎ দর্শনধারী হিসেবে প্রথম হয়েছে হুগলি, দ্বিতীয় পূর্ব বর্ধমান, তৃতীয় উত্তর চব্বিশ পরগনা। ‘ওভারঅল পারফরমেন্স’ বিভাগে প্রথম দখল মালদহের, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান ছিনিয়ে নিয়েছে যথাক্রমে নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদ। ‘অ্যাওয়ার্ড অফ অ্যাপ্রিসিয়েশন’ বিভাগে প্রথম স্থান পেয়েছে বাঁকুড়া, দ্বিতীয় হয়েছে পুরুলিয়া এবং উত্তর দিনাজপুর পেয়েছে তৃতীয় স্থান।