রাজ্যে প্রতি ১ লক্ষে ৩ জনের করোনা হচ্ছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই! জানাচ্ছে স্বাস্থ্যদপ্তরের রিপোর্ট
দুই বছর অতিক্রান্ত, আজ ক্ষীণ হলেও করোনা কিন্তু এখন ঘায়েল করে যাচ্ছে। হালে করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যান দেখে অনেকেই রব তুলছেন। আবার কি চোখ রাঙাচ্ছে করোনা! কেউ কেউ বলছেন আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য এমন করছেন লোকে। তবে এই পরিস্থিতিতে শঙ্কার কোন কারণ নেই, এমনটাই জানাচ্ছে স্বাস্থ্যদপ্তরের এক অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলায় প্রতি ১ লক্ষ মানুষের মধ্যে এখন মাত্র তিন জন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনা নিয়ে বিস্তারিত তথ্যানুসন্ধান শুরু করে রাজ্য স্বাস্থ্যভবন। জুন মাসের প্রথম ২০ দিনের করোনা সংক্রান্ত তথ্য, পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করতেই এই তথ্য সামনে এসেছে। মাস পয়লা থেকে ২০ জুনের মধ্যে রাজ্যে মোট ২,৬৯৭ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৪৯ জনের বয়স সদ্যজাত থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। ১৫-৩০ বছর বয়সি ছিলেন ৬৩৬ জন। ৩১-৪৫ বছর বয়সের ৭৫৮ জন ছিলেন। ৬২৬ জনের বয়স ৪৬ থেকে ৬০ বছর। ৬১ থেকে ৭৫ বছর বয়সিদের মধ্যে ছিলেন ৪২৮ জন। ৭৫ বছরের উর্ধ্বে ছিলেন ১০০ জন।
প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় বাংলার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সদ্যোজাত থেকে ১৫ বছরের মধ্যে বয়সির সংখ্যা ২৭ শতাংশের সামান্য বেশি। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, প্রতি এক লক্ষ জনে ওই বয়সসীমার একজনও এখন আর করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে না। যদিও পাটিগণিতের হিসেবে ওই বয়সীদের মধ্যে মাত্র ০.৬ বা করোনা আক্রান্ত হচ্ছে। অর্থাৎ উপেক্ষা করার মতোই মান।
১৬-৩০ বছর বয়সসীদের ক্ষেত্রে জনসংখ্যার হার রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ২৮.৩২ শতাংশ। সেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রতি ১ লক্ষ যুবদের মধ্যে ২.৪৬ জন সংক্রমিত হচ্ছে। মধ্যবয়স্কদের ক্ষেত্রে অর্থাৎ রাজ্যে ৩১-৪৫ বছরের মানুষ রয়েছেন প্রায় ২১ শতাংশের কাছাকাছি। প্রতি ১ লক্ষ জনে ওই বয়সসীদের মাত্র ৩.৭৯ জনের করোনা হচ্ছে। তবে এবারেও বয়স্করা বেশি মাত্রায় সংক্রমিত হচ্ছেন। প্রতি এক লক্ষে ৪৬-৬০ বছর বয়সী মানুষদেরর মধ্যে ৪.৮৭ জন এবং ৬১-৭৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে প্রায় ৭ জন সংক্রমিত হচ্ছেন। ৭৫ উর্ধ্বদের ক্ষেত্রে ৬.১৬ জন সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন।
সার্বিকভাবে প্রতি ১ লক্ষে ২.৯৬ জনের অর্থাৎ ৩ জনের করোনা হচ্ছে। এদিকে, ২৫ জুন রাজ্যে করোনা সংক্রমণ অনেকটা কমেছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের জানা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৬৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ২ জন মারা গিয়েছেন। পজিটিভিটি রেট ৭.২। ১২৮ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এখনই চিন্তার কোন কারণ নেই বলেই স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর মিলেছে।