রাষ্ট্রপতি হয়ে নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর হবেন যশোবন্ত, চিঠিতে জানালেন বিরোধী নেতাদের
বেজে গিয়েছে রাইসিনা দখলের লড়াইয়ের দামামা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের লড়াইয়ে একদিকে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু, সংখ্যার বিচারে খানিকটা এগিয়েই তিনি। আর অন্যদিকে বিরোধীদের প্রার্থী যশোবন্ত সিনহা। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে যাই বলুক না কেন, জমি ছাড়তে নারাজ, দেশের প্রবীণ রাজনীতিবিদ যশোবন্ত সিনহা।
বিরোধীদের একজোট করার লক্ষ্যে বিরোধী নেতাদের চিঠি দিলেন যশোবন্ত সিনহা। ইতিমধ্যেই মহা সমারোহে মনোনয়ন জমা দিয়েছে দ্রৌপদী মুর্মু। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে ছিল না মনোনয়ন জমা দেওয়ার আসরে। কিন্তু প্রচারে পিছিয়ে নেই যশোবন্ত সিনহাও। ২৭ জুন অর্থাৎ আগামী সোমবার তিনি মনোনয়ন পেশ করবেন। তারপরেই রাজ্যে রাজ্যে গিয়ে ভোটের প্রচার করতে চান বিরোধী শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশোবন্ত সিনহা, বিরোধীদের চিঠিতে তিনি নিজেই সেকথাই জানিয়েছেন।
শুক্রবার ২৪ জুন রাতে বিরোধী শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশোবন্ত সিনহা বিরোধী নেতাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, দেশের সংবিধানের একজন রক্ষাকর্তা হিসেবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে তিনি কাজ করতে চান। সংবিধানের মূল ধারাকে রক্ষা করাই তাঁর লক্ষ্য। তিনি চিঠিতে জানিয়েছেন, তিনি বিরোধী নেতাদের আশ্বস্ত করছেন, নির্বাচিত হলে নিরপেক্ষভাবেই তিনি সংবিধানের মূল ভাবনাকে রক্ষা করবেন। গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতার আলোকে স্তিমিত হতে দেব না, বলেও ওই চিঠিতে জানিয়েছেন বিরোধী শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশোবন্ত সিনহা।
তিনি জানাচ্ছেন, তিনি রাষ্ট্রপতি হলে কৃষক, শ্রমিক এবং বেকার যুবসমাজ, মহিলা এবং নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠবেন। মোদী আমলে বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী সরকার দেশের স্বশাসিত সংস্থাগুলির স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। সেই মর্মে যশোবন্ত সিনহা লিখছেন, তিনি রাষ্ট্রপতি হলে কোন স্বশাসিত সংস্থার অপব্যবহার হতে দেব না। সংসদ কোনভাবেই যাতে স্বৈরাতন্ত্রের আক্রান্ত না হয় তাও নিশ্চিত করবেন তিনি। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে ফাঁকা জমি ছাড়বেন না যশোবন্ত।