বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু আটকাতে কলকাতার সমস্ত বাতিস্তম্ভ পরীক্ষা করবে পুরসভা
ইতিমধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিপদজনক ঘটনা ঘটেছে প্রায় বেশকিছু জায়গায়। ছোট জনবহুল বস্তি এলাকায় বিশেষত বিপদ এড়াতে জারি হচ্ছে বাড়তি সতর্কতা। হরিদেবপুর দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসল কলকাতা পুরসভা। শহরে যত বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে সব পরীক্ষা করবে পুরসভা। পাশাপাশি কিভাবে খুঁটিটি তড়িৎবাহী হয়েছিল তার কারণ জানতে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের ডিরেক্টর অফ ইলেকট্রিসিটি এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের অধ্যাপককে নিয়ে থার্ড পার্টি তদন্ত শুরু করেছে পুর কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া বস্তিতেও বাড়তি সচেতনতা নিচ্ছে। কোন কোন বস্তিতে তার বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে, তা জানতে সিইএসসি ও পুরসভা যৌথভাবে পরিদর্শন করবে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার পুরসভায় জরুরি বৈঠকে বসেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। হাজির ছিলেন পুর কমিশনার বিনোদ কুমার ও নিকাশি দপ্তরের আধিকারিকরা। মেয়র মৃতের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিন মেয়র পারিষদ তারক সিং জানান, পুরসভা ও সিইএসসির যত বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে সব খুঁটি পরীক্ষা করা হবে। তড়িৎবাহী হয়ে আছে কি না, জানতে টেস্টার দিয়ে প্রতিটি খুঁটি পরীক্ষা করবে। এছাড়া রাস্তায় সিইএসসির বিদ্যুতের যত সামগ্রী রয়েছে সব খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। ত্রিফলার বাতিগুলিও পরীক্ষা করা হবে। বাতিস্তম্ভের গায়ে এলইডি লাইট লাগানো আছে, সেগুলি খুলে ফেলা হবে।
এদিন বৈঠকের পরই রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে পুরসভা ও সিইএসসি ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। আজ মঙ্গলবারও তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন। দু’দিনের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। এখনও কারও বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করেনি পুরসভা। তবে সন্দেহের তির স্থানীয় এক প্রমোটারের দিকে।