“গেঁয়ো যোগী ভিখ পায়না” নিন্দুকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন টোটা
গত ১৭ জুন মুক্তি পেয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি: দার্জিলিং জমজমাট’। ‘ছিন্নমস্তার অভিশাপ’-এর পর আবারও ফেলুদার চরিত্রে দেখা গেছে টোটা রায় চৌধুরিকে। এই সিরিজটি মুক্তি পেতেই দর্শকমহলে হইচই পড়ে গিয়েছে। বাংলা OTT প্ল্যাটফর্মের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দর্শক এই seriesটি দেখেছেন।
সৃজিতের নতুন ফেলুদা সিরিজ নিয়ে প্রত্যাশিতভাবেই বিভক্ত নেটপাড়া। একদিকে যেমন রয়েছে প্রসংশা, সেরকমই নেটমহলে চলছে সমালোচনাও। গঠনমূলক সমালোচনার বদলে এক শ্রেণীর মানুষ যেভাবে এই সিরিজটি নিয়ে শ্লেষ, ক্ষোভ আর ঘৃণা ছড়াচ্ছেন, তাতে বেজায় চটেছেন টোটা। ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন অভিনেতা।
টোটা লেখেন, “সাধারণত, সমালোচনাকে আমি স্বাগত জানাই। objective & constructive criticism থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। এবারও যেমন শিখেছি। তবে এবারে একটা নতুন অভিজ্ঞতা হলো। বেশ কিছু সমালোচনা গঠনমূলক তো নয়ই, অসম্ভব ঘৃণা মিশ্রিত, যার প্রধান উদ্দেশ্যই হলো পরিচালককে বা অভিনেতাদের হেয় করা।”
তাঁর দাবি, বেশ কিছু মানুষ জোরের সঙ্গে দাবি করছেন যে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের গত কয়েকটা কাজ নাকি পাতে দেওয়ার অযোগ্য। অথচ তাঁরা সেই অযোগ্য কাজগুলোই যে কেন পরপর দেখছেন সেই রহস্যের সমাধান করতে হয়তো ফেলুদাকেই ডাকতে হবে! ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি যে সৃজিতের মত পরিশ্রমী, কাজের প্রতি সমর্পিত ও কাজপাগল পরিচালক আমি আমার পুরো কেরিয়ারে (প্রায় পঁচিশ বছরে) দুটি দেখিনি।
টোটার গলায় শোনা যায় অভিমানের সুরও। তিনি বলেন, গেঁয়ো যোগী যে ভীখ পায়না সেটা আমার থেকে ভালো আর কে জানবে।
নিন্দুকদের একহাত নিয়ে টোটা আরও লেখেন, “জঘন্যতম ফেলুদা, আড়ষ্ট, কেতাবাজ, চিবিয়ে কথা বলে আরো নানান বিশেষণে আমায় ভূষিত করা হয়েছে। আমি নিজে যতবারই অনুরোধ বা বিনতি করি না কেন যে সৌমিত্রবাবু বা সব্যসাচীবাবু হিমালয় সম, ওনাদের সাথে আমার তুলনা করা আর সৌরভ বা ধোনির সঙ্গে ক্যাম্বিস বলের পাড়ার ক্রিকেটারের তুলনা করা, একই পর্যায়ের, তাই দয়া করে তুলনা টানবেন না।”
তাঁর মতে, মানুষকে ছোট করে যে অনাবিল আনন্দ আরোহন করা যায় এবং নিজের ক্ষুদ্রতা থেকে যে ক্ষণিকের মুক্তি পাওয়া যায় তা থেকে কিছু মানুষ কেন নিজেদের বঞ্চিত করবেন! তাই বারবার তুলনা টানা এবং ট্রোল করে পৈশাচিক আনন্দে লিপ্ত হওয়া। তা বেশ। এটাও তো একপ্রকার বিনোদন।