মধ্যবিত্তর মাথায় খাঁড়ার ঘা, স্বল্প সঞ্চয়ের সুদ বাড়াল না মোদী সরকার
মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ে মোদী সরকারের কোপ অক্ষত। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির দরুণ বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষ আর অন্যদিকে কাজ নেই আমজনতার হাতে। জিনিস কিনতে পাগল হওয়ার জোগাড় মধ্যবিত্তের। খুচরো ও পাইকারি বাজারের মুদ্রাস্ফীতির কারণে দিশেহারা মানুষ। সাধারণের সম্বল বলতে স্বল্প সঞ্চয়ের সুদ কিন্তু তাতেও কোপ মোদী সরকারের।
পোস্ট অফিসের স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার বাড়াল না মোদী সরকার। অধিকাংশ মানুষই মূলত প্রবীণরা জমানো টাকার সুদের উপর নির্ভর বেঁচে আছেন, তাদের আবারও বঞ্চিত করল মোদী সরকার। স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে যে সুদের হার চালু রয়েছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাইই থাকছে জানিয়ে বৃহস্পতিবার ৩০ জুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অর্থমন্ত্রক। তিন মাস পর পর মোদী সরকার পোস্ট অফিসের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হার ঘোষণা করে।
নিয়ম অনুযায়ী, স্বল্প সঞ্চয়ে নতুন সুদের হার ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। বিগত কয়েক মাস যাবৎ সুদের হার বাড়ায়নি মোদী সরকার। ফলে সুদের হার বাড়ানোর আশা করেছিলেন অনেকেই, কিন্তু মোদী সরকার বরাবর দেশবাসীর আশায় জল ঢেলে এসেছে। এবারেই ব্যতিক্রম হল না। আম জনতার ভাগ্যে সেই শূন্যই। সরকারি সঞ্চয় প্রকল্পগুলির সুদ বাড়ানোর বিন্দুমাত্র প্রচেষ্টা করল না মোদী সরকার।
সঞ্চয় প্রকল্পগুলির মধ্যে বর্তমানে সুকন্যা সমৃদ্ধি প্রকল্পে সর্বোচ্চ সুদ পাওয়া যায়। সুকন্যা সমৃদ্ধি প্রকল্পে এই মুহূর্তে সুদের হার বার্ষিক ৭.৬ শতাংশ। প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সঞ্চয় প্রকল্পে ৭.৪ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। পিপিএফের সুদের হার ৭.১ শতাংশ। ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেটে এবং কিষাণ বিকাশপত্রে যথাক্রমে ৬.৮ ও ৬.৯ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। দীর্ঘমেয়াদি আমানতের ক্ষেত্রে পরিমাণ আরও তলানিতে। ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষে এই জাতীয় প্রকল্পগুলিতে সুদের হার অনেকটা কমিয়েছিল মোদী সরকার। হাল আমলে ক্রয় ক্ষমতা মানুষের নাগাল পেরিয়ে গিয়েছে কিন্তু তাতেও হেলদোল নেই মোদী সরকারের। সঞ্চয় থেকে সাধারণ মানুষের সামান্য আয়ের রাস্তাটুকুও কেড়ে নিতে চাইছে মোদী সরকার।