মোদী সরকারের আমলে কমছে ব্যবসা বাণিজ্য? তারই প্রতিফলনই কী জিএসটি আদায় থমকে যাওয়া?
শুক্রবার জিএসটি চালু হওয়ার পঞ্চম বর্ষপুর্তি ছিল। সেই হিসেবে মোদী সরকার নিজের ঢাক নিজেই বাজাচ্ছিল। কিন্তু এদিনই জুন মাসের জিএসটি আদায়ের পরিসংখ্যান অর্থমন্ত্রককে চরম বিব্রত করেছে । জুন মাসে গোটা দেশে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে জিএসটি বাবদ। মে মাসে তা ছিল, ১ লক্ষ ৪১ হাজার কোটি টাকা, তুলনায় এটি মাত্র ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি। এদিকে এপ্রিল মাসেই জিএসটি আদায় হয়েছিল ১ লক্ষ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। সেটি ছিল সর্বকালীন রেকর্ড।
এপ্রিল থেকে একদিকে মূল্যবৃদ্ধির আগুন কমছে ব্যবসা বাণিজ্য। অথচ এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে এক ধাক্কায় জিএসটি আদায় কমেছিল ২৭ হাজার কোটি টাকা। জুন মাসেও সেই চিত্রের তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য হেরফের হল না। মূল্যবৃদ্ধির রাশ টানতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দফায় দফায় রেপো রেট বাড়াচ্ছে। সাধারণ মানুষের উপর ঋণ পরিশোধের বোঝা বাড়ছে। ব্যাঙ্কগুলির আয় বাড়ছে। অথচ ব্যবসা বাণিজ্য কমছে। তারই প্রতিফলন জিএসটি আদায় থমকে যাওয়া।
জিএসটি যেভাবে চালু করার কথা ছিল, সেই পথে না হেঁটে মোদী সরকার রাজ্যগুলির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, বলছে বিরোধীরা। ২০১৭ সালে জিএসটি চালুর সময় কেন্দ্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, রাজ্যগুলির বার্ষিক রাজস্ব বৃদ্ধির হার হবে ১৪ শতাংশ। কিন্তু পাঁচ বছর পর দেখা যাচ্ছে, এই আশ্বাস উবে গিয়েছে।
বিরোধীদের তাই দাবি, মোদী সরকার এই জিএসটি প্রথা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়ে বরং একটিমাত্র করব্যবস্থা চালু করুক। অর্থাৎ সিঙ্গল ট্যাক্স ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত সরকার পাঁচ বছরে জিএসটির পদ্ধতি বদলের জন্য ৮৬৯টি বিজ্ঞপ্তি, ১৪৩টি নোটিস এবং ৩৮টি নির্দেশিকা জারি করেছে। অর্থাৎ প্রত্যেক দু’দিনে একটি করে পরিবর্তন!