জনসংযোগে জোর, ‘দিদিকে বলো’র ধাঁচে কর্মসূচি শুরু হচ্ছে ‘বিধায়ককে বলো’
ফের জোরকদমে জনসংযোগে নামছে জোড়াফুল শিবির। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাককালে তৃণমূল তরফে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দিদিকে বলোর মাধ্যমে ফোনের দ্বারা জনসাধারণ তাদের অভাব-অভিযোগকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিতেন।
সম্প্রতি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কেন্দ্রে অর্থাৎ ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে এক ডাকে অভিষেক নামে এমনই এক পরিষেবা চালু করেছিলেন। এক ডাকে অভিষেকের মাধ্যমে ফোনেই সাংসদকে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন ডায়মন্ড হারবারবাসী। দলনেত্রীর দেখানো সেই পথেই এবার জনসংযোগ দৃঢ় করার কাজ শুরু করলেন দুই তৃণমূলের বিধায়ক। দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক দেবাশিস কুমার শুরু করলেন ‘বিধায়ককে বলো’। অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার রাজারহাট গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অদিতি মুন্সি ‘আমার কথা বিধায়কের কাছে’ আরম্ভ করলেন।
রাজ্যের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প ও পরিষেবা সাধারণ মানুষের কাছে নিরবিচ্ছিন্নভাবে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিকে ব্যবহার করে শুরু হতে চলেছে ‘বিধায়ককে বলো’। এক্ষেত্রে এলাকাবাসীরা নিজেরাই বিধায়ককে নিজেদের যাবতীয় অভাব, অভিযোগ, সমস্যা, দাবির কথা জানাতে পারবেন। অভিযোগকারী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ পেয়ে যাবেন বলেও জানা গিয়েছে, বিধায়ককে বলো সম্পর্কে এমনটাই বিধায়ক তথা দক্ষিণ কলকাতার জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস কুমার।
প্রসঙ্গত, এর আগেই রাসবিহারীতে নাগরিকদের মতামত এবং পরামর্শ জানতে ড্রপ বক্স চালু করেছিলেন দেবাশিস কুমার। এবার নিজের কেন্দ্রের আটটি ওয়ার্ডে ‘বিধায়ককে বলো’ চালু করছেন। থাকছে বিশেষ QR কোড। যেকোন সময় বিধায়ককে সরাসরি অভিযোগ বা চাহিদা জানাতে পারবেন এলাকাবাসী। বিধানসভা কেন্দ্রের সব ওয়ার্ডেই একদিন করে নাগরিকদের মুখোমুখি হবেন বিধায়ক। প্রতিটি ওয়ার্ডে বুথ প্রতি ২ বা ৩টি করে ড্রপ বক্স চালু হচ্ছে।
আবার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তথা বিধায়ক অদিতি মুন্সি ‘আমার কথা বিধায়কের কাছে’ নামক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের হেল্পলাইন চালু করেছেন। নির্দিষ্ট নম্বরে অভিযোগ অথবা সমস্যার কথা জানানো মাত্রই অদিতির অফিস থেকে ওই অভিযোগকারী কাছে ফোন যাচ্ছে। সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা নিচ্ছেন বিধায়ক। তৃণমূল তরফে দাবি করা হচ্ছে, স্মার্ট ফোন থাকলেই আপনার বিধায়ক আপনার কাছে। তাদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা যাবতীয় সরকারি পরিষেবাও সাধারণ মানুষের নাগালে পৌঁছে দেওয়া হবে। ৬২৮৯৮৯৬৬৫৮ নম্বরে ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপ করলেই বিধায়কের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন আমজনতা।
তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা ও রাজ্যে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন। আগামীদিনে অন্যান্য তৃণমূল জনপ্রতিনিধিরা একই পথ অবলম্বন করবে বলেই মনে করছে বিশ্লেষক মহল।