রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য নিয়োগ, ধনখড়কে কড়া জবাব ব্রাত্যর
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সাথে ফের সংঘাতে রাজ্য। নাম না করেই শনিবার ধনখড়কে কড়া জবাব দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
বৃহস্পতিবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। আচার্য হিসেবে তাঁকে অপসারণ করে বিধানসভায় বিল পাস হওয়া সত্ত্বেও একতরফাভাবে ‘আচার্য’-র ক্ষমতাবলে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে মহুয়া মুখোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করেন জগদীপ ধনখড়। তারপরেই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেন শাসকদলের নেতারা।
শনিবার বিবৃতি জারি করে বিতর্কে ইন্ধন যোগালেন রাজ্যপাল। তাঁর দাবি, ‘বলা হল রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী বা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু ২৪ জুন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্যপাল তথা আচার্যের কাছে এ বিষয়ে নোট পাঠিয়েছিলেন।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আচার্য হিসেবে জগদীপ ধনখড় রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্য বিভাগের অধ্যাপিকা মহুয়া মুখোপাধ্যায়কে উপাচার্য পদে নিয়োগ করলেন। ১৯৮১ সালের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় আইনের (১)(বি) ধারা মেনে।’
এরপরেই শিক্ষামন্ত্রী বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছেন, বিধানসভায় বিল পাশের কারণে গত ৩০ জুন ২০২২ তারিখে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, ২৫ জন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে এই দেশের প্রতিটি নাগরিককে আইন ও বিধিগুলির সঙ্গে বিধানও মেনে চলতে হবে। যদি না আদালত কোনও ঘোষণা করেন। মাননীয় আচার্য ২০১৯ সালের বিধি অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৯ সালের বিধি ও বিধান মেনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ করা হবে।
বলাই বাহুল্য পান থেকে চুন খসলে যিনি অপমানিত হন, সেই ধনখড় নিশ্চয়ই নতুন টুইট লিখতে বসে পড়েছেন ইতিমধ্যেই।