শেষকৃত্য নয়, তরুণ মজুমদারের ইচ্ছে অনুযায়ী হবে দেহদান
শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন তরুণ মজুমদার। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। কিডনি এবং হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় দীর্ঘ দিন ধরেই ভুগছিলেন প্রবীণ চলচ্চিত্র পরিচালক। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, কিন্তু শেষরক্ষা হল না। না ফেরার দেশে পারি দিলেন পরিচালক।
তরুণ মজুমদারের পরিবারের তরফে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, তাঁর শেষকৃত্যে কোনও আড়ম্বর থাকবে না। কোনও শোকমিছিল হবে না। মৃত্যুর পর তাঁর দেহদানের ইচ্ছে ছিল পরিচালকের। সেই ইচ্ছে অনুসারেই, তাঁর মরদেহ দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবার। সম্ভবত এসএসকেএম হাসপাতালেই তাঁর দেহদান করা হবে।
এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে তাঁর দেহ আনা হবে এনটিওয়ান স্টুডিওতে। সেখানেই অনুরাগীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। পরিচালককে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সময় ফুল বা মালা না নিয়ে আসার জন্যেও সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে পরিবারের তরফে।
রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, “তরুণ মজুমদারের পরিবারের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়েই শেষকৃত্যের আয়োজন করা হবে। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য হবে না তাঁর। উনি চেয়েছিলেন আড়ম্বরহীনভাবে শেষযাত্রা হোক। ওঁর ইচ্ছে অনুযায়ী সেটাই হবে। মরদেহ বাড়ি যাওয়ার পর ফের এসএসকেএমে নিয়ে আসা হবে দেহদানের জন্য।”