বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই বুমরাহদের ব্যর্থতা ভারতীয়দের মাথা হেঁট করে দিল
বিশ্বকাপজয়ী দলের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হল বুমরাহ অ্যান্ড কোংয়ের। ২-২-এ ড্র দিয়েই শেষ হল কার্যত দু’বছর ধরে চলা সিরিজ। ইংলিশ ব্যাটাররা আউট হলে বিরাট কোহলির অতিউচ্ছ্বাস যেন ভারতীয় সমর্থকদের মাথা আরও হেঁট করে দিল।
দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক জশপ্রীত বুমরাহর ফিল্ডিং সাজানো নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। গুরুত্বপূর্ণ সময় যখন আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজানোর প্রয়োজন ছিল, তখন তিনি বেশিরভাগ ফিল্ডারদেরই ৩০ গজের বাইরে বা বাউন্ডারির কাছে রাখলেন তিনি। ফলে খুচরো রান নিয়ে অনায়াসে এগিয়ে গেলেন জো রুটরা।
তবে শুধু ফিল্ডিং সাজানোই নয়, ভারতের হারের অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরতেই হয় খারাপ ফিল্ডিং এবং দুর্বল বোলিংকে। শেষ দিন ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১১৯ রান, ভারতের দরকার ছিল ৭ উইকেট। কিন্তু শুরু থেকেই ভারতীয় দলের মানসিকতা দেখে মনে হচ্ছিল, তারা ধরেই নিয়েছে ম্যাচ হেরে গিয়েছে। চতুর্থ দু’টি ক্যাচ ফেলে ভারতীয় ফিল্ডাররা।
ফিল্ডিংয়ের পাশাপাশি বলতে হয়, বিপক্ষের ২০টি উকেট নেওয়ার মতো বোলার ভারতের ছিল না। যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ কিছুটা সফল হলেও বাকিরা সুবিধা করতে পারেননি। বিশেষ করে শার্দুল ঠাকুর ব্যর্থ। স্পিনারের অভাবও বোধ করেছে ভারত। বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে ছিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। কিন্তু তিনি একটিও উইকেট পাননি।
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় ব্যাটারদের মানসিকতারও আক্রমণাত্মক ছিল না। পুজারা এবং পন্থ ছাড়া কোনও ব্যাটার দ্বিতীয় ইনিংসে রান পাননি। পুজারা ৬৬ এবং পন্থ ৫৭ রান করেন। অন্তত একজন ব্যাটার বড় রানের ইনিংস খেললে ভারতকে এই টেস্ট হারতে হত না। ব্যাটিং করার সময় রাহুল দ্রাবিড়রা কী পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিলেন, বোঝা কঠিন। অন্য দিকে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে একটি ৬৬ ও একটি ৯২ রানের জুটি গড়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড ওপেনিং জুটিতে ১০৭ রান করে। এর পর অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে জো রুট এবং জনি বেয়ারস্টো ২৬৯ রান যোগ করেন। যা এই ম্যাচে তফাৎ গড়ে দেয়।