করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ, বুস্টার নিতে অনীহা বঙ্গবাসীর, ঘুম ছুটেছে স্বাস্থ্য দপ্তরের
দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে করোনা। বিশ্বজুড়ে কয়েকটি তরঙ্গে আতঙ্ক ধরিয়েছে করোনা। ভারতেও করোনা থাবা বসিয়েছে। চলতি বছরের জুন থেকে ফের রাজ্যে একটু একটু করে বাড়ছে সংক্রমণ। গত দুদিনেই তা দেড় হাজারের গণ্ডি পেরিয়েছে। আবারও চিন্তা ধরাচ্ছে করোনা সংক্রমণ।
করোনার একমাত্র দাওয়াই বলতে টিকা, কিন্তু সেই টিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের অনীহা দেখে অবাক রাজ্যের চিকিৎসকমহল। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, বাংলায় ৬০ লক্ষের বেশি মানুষ করোনার দ্বিতীয় টিকা নেননি। টিকা নিয়ে তরুণ-তরুণীদের ঔদাসীন্য চরমে। অগ্রাধিকার পেলেও ৬০ পেরোনো প্রবীণেরা প্রিকশান ডোজ নিতেই চাইছেন না। এই কারণেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের ঘুম ছুটেছে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ৭ কোটি ৭০ লক্ষ রাজ্যবাসীকে প্রথম টিকা দিতে পেরেছে রাজ্য। তাদের মধ্যে ৬০ লক্ষেরও বেশি মানুষ এখনও দ্বিতীয় টিকা নেননি। অর্থাৎ তাদের টিকাকরণ অসম্পূর্ণ রয়েগিয়েছে। ষাটোর্ধ্ব প্রায় ২৩ লক্ষ রাজ্যবাসী প্রিকশনারী ডোজ নেননি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হঠাৎ করেই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া কারণে প্রিকশান ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। এক্ষেত্রে ষাটোর্ধ্ব প্রবীণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরে ৯ মাস সময় পূর্ণ হলেই প্রিকশানডোজ নেওয়ার উপযুক্ত হন টিকা গ্রহণকারী।
টিকা দিতে তৎপর রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। জেলা প্রশাসনগুলিকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়া প্রতি অনীহা উদয় হওয়া কারণে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণের উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য।