অগ্নিপথ প্রকল্প কি আদৌ বৈধ? খতিয়ে দেখতে মামলা গ্রহণ শীর্ষ আদালতের
অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে চার বছরের জন্য অস্থায়ী নিয়োগের কথা ঘোষণা করতেই মোদী সরকারের বিরোধিতায় পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে ক্ষোভের আগুন। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় ইতিমধ্যেই দেশের শীর্ষ আদালতে অজস্র আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনগুলির পরিপ্রেক্ষিতেই অগ্নিপথ প্রকল্পের বৈধতা যাচাই করতে মামলা গৃহীত হলে দেশের শীর্ষ আদালতে।
আগামী সপ্তাহে বিচারপতি ইন্দিরা ব্যানার্জি এবং জেকে মহেশ্বরীর বেঞ্চে অগ্নিপথ মামলার শুনানি হবে। অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণার পর থেকেই বিতর্কের অন্ত নেই। মোদী সরকারের বিরোধিতায় বিক্ষোভ হিংসাত্মক আকার ধারণ করলেও নিরুত্তর মোদী। সরকার তার সিদ্ধান্তে অনড়।
প্রসঙ্গত, ১৪ জুন অগ্নিপথ প্রকল্পের বিষয়ে ঘোষণার পর থেকে, এখনও পর্যন্ত এই অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতে তিনটি আবেদন জমা পড়েছে। মোদী সরকার ১৯ জুন দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জানিয়েছিল; অগ্নিপথ সংক্রান্ত কোন জনস্বার্থ মামলার শুনানির নির্দেশ দেওয়ার আগে আদালতের তরফে যেন সরকারের বক্তব্য শোনা হয়।
হর্ষ অজয় সিংহের পক্ষে তার আইনজীবী কুমুদ লতা আদালতে এই বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত জানিয়েছিল, দেশের প্রধান বিচারপতির অনুমতিক্রমে গ্রীষ্মকালীন ছুটির পরে মামলাটিকে নথিভুক্ত করা হবে। অন্য আরেকজনের হয়ে এমএল শর্মা অগ্নিপথ প্রকল্পের বৈধতার বিষয়ে মামলা দায়ের করার জন্য আদালতের দরস্থ হন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ জানায়, মামলাটি নথিভুক্ত করার বিষয়ে আদালতের রেজিস্ট্রার খতিয়ে দেখবেন।