দেশের আগামী উপরাষ্ট্রপতি কি মুখতার আব্বাস নকভি?
দেশের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে ৬ আগস্ট। ভেঙ্কাইয়া নাইডুর পর এই পদে কে বসবেন, তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা। দিল্লির ক্ষমতার অলিন্দে কান পাতলে যার নাম শোনা যাচ্ছে, তিনি হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নকভি।
অনেকেই মনে করছেন, দৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করে নরেন্দ্র মোদী যেমন এক ঢিলে অনেক পাখি মারার চেষ্টা করেছেন, তেমনি বিজেপির অন্যতম সংখ্যালঘু মুখ মুখতার আব্বাস নকভিকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করে কৌশলি চাল দিতে পারেন।
নকভির রাজ্যসভার মেয়াদ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। কয়েক দিন আগে ১৬ জন নেতাকে রাজ্যসভার মনোনয়ন দেয় বিজেপি, তার মধ্যে নাম ছিল না বিজেপির এই মন্ত্রীর। বিজেপি সূত্রের একাংশের মতে, নকভিকে আরও বড় দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তারপর থেকেই চলছে তাঁর উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার জল্পনা।
জ্ঞানবাপী মসজিদ, মথুরার ইদগায় মন্দির তৈরির দাবি, নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য – বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপির মুসলমান বিদ্বেষী রূপ আরও প্রকট হয়েছে। নূপুরের মন্তব্যের জেরে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলির সাথে ভারতের সম্পর্কে চিড় ধরেছে। তাই, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভিকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করে পাল্টা চালে মাত করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা। এরকমই একটি জল্পনা চলছে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে।
অন্যদিকে, উপরাষ্ট্রপতি যেহেতু রাজ্যসভার অধ্যক্ষও, তাই প্রাক্তন মন্ত্রী তথা পোড়খাওয়া রাজনীতিক সেই পদে থাকলে সংসদের উচ্চকক্ষের রাশও থাকবে মোদীর হাতে। পাশাপাশি, রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি পদে ‘নিজেদে’র লোক থাকলে মোদী-শাহের পক্ষে বিরোধীদের কোনঠাসা করা আরও সহজ হবে।
তাই, মুখতার আব্বাস নকভিই হতে পারেন বিজেপির তুরুপের তাস, মনে করছে রাজনৈতিক মহল।