হিমাচলে নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ছাড়তে পারেন আনন্দ?
আনন্দ-নাড্ডা সংলাপ! হাত ছেড়ে পদ্ম বাগানের দিকে এগোচ্ছেন দেশের এই প্রবীণ রাজনীতিক? বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে হঠাৎই কথা হয় কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মার, এতেও ক্রমশ জোরালো হচ্ছে দলবদলের জল্পনা। কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত খবরের কারণেই এই জল্পনা ছড়িয়েছে। এই মুহূর্তে দিল্লিতে জল্পনা তুঙ্গে। কিছু সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছেন বৃহস্পতিবার ৭ জুলাই রাতে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে গোপনে দেখা করেছেন আনন্দ শর্মা।
খবর রটেছে, রাজ্যসভার টিকিট না পাওয়ায় কংগ্রেসের উপর বেজায় চটেছেন আনন্দ শর্মা। ক্ষোভের পারদ এতটাই জমেছে যে, তিনি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন? যদিও জল্পনায় ইতি টেনেছেন কংগ্রেস নেতা নিজেই। তিনি নিজেই বলেছেন, তিনি কংগ্রেসেই আছেন। নাড্ডার সঙ্গে দেখা করার হলে, তা সকলের সামনে করবেন বলেই জানিয়েছেন আনন্দ।
আনন্দ শর্মার কথায়, রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হলেই কেউ শত্রু হয় না। তিনি যে কোন নতুন জল্পনার জন্ম দিতে চান না, তাও সাফ জানিয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। নাড্ডার সঙ্গে কথা হওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন আনন্দ শর্মা। প্রসঙ্গত, তারা দু-জনেই হিমাচল প্রদেশের মানুষ, হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তাদের দু-জনকেই সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই কারণেই তার ও নাড্ডার কথা হয়েছে বলেই জানিয়েছেন আনন্দ।
আনন্দ শর্মা দলের দীর্ঘদিনের নেতা। সুবক্তা হিসেবেও তার খ্যাতি রয়েছে। তিনি কংগ্রেস ছাড়লে তা সত্যিই হাত শিবিরে আঘাত আনবে। হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। আনন্দ হিমাচলেরই মানুষ, তিনি দল ছাড়লে কংগ্রেস হিমাচল প্রদেশে এবং জাতীয় স্তরে গোটা দেশে ধাক্কা খাবে।