চোটের কারণে উইম্বলডন থেকে সরে দাঁড়ালেন নাদাল
উইম্বলডন থেকে শেষ পর্যন্ত সরেই দাঁড়ালেন রাফায়েল নাদাল। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর নাম প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করা হয়েছে উইম্বলডনের তরফে। নাদালের পেটের পেশিতে সাত মিলিমিটারের ক্ষত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই চোটের যে ছবি দেখা যাচ্ছে তা দেখে আঁতকে উঠছেন অনেকেই। পেটের উপর টেপ লাগানো রয়েছে।
কোয়ার্টার ফাইনালে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে খেলতে হয়েছিল নাদালকে। টেলর ফ্রিৎজের বিরুদ্ধে পাঁচ সেটের লড়াইয়ে শেষ দিকে কিছুতেই আর টানতে পারছিলেন না। সার্ভিস করতে সমস্যা হচ্ছিল। মেডিক্যাল টাইম-আউট নিয়েছিলেন। তবু হাল না ছেড়ে শেষ পর্যন্ত খেলেন এবং ম্যাচ জিতে নেন। তবে সেমিফাইনালে খেলার মতো শারীরিক অবস্থা তাঁর নেই বলেই জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, বিগত ২০০৯ সালে ইউএস ওপেনেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই সময় দুই সেন্টিমিটার ক্ষত নিয়ে খেলেছিলেন নাদাল। সেখানে সেমিফাইনালে নাদাল হেরে গিয়েছিলেন মার্টিন দেল পত্রর কাছে। স্পেনের এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, চোট নিয়েই সেমিফাইনালে খেলতে নামবেন ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক। নিক কিরিয়সের বিরুদ্ধে শুক্রবার নামার কথা নাদালের।
২০০৮ এবং ২০১০ সালের উইম্বলডনজয়ী কোয়ার্টার ফাইনালে টেলর ফ্রিৎজকে হারিয়ে দেন ৩-৬, ৭-৫, ৩-৬, ৭-৫, ৭-৬ (১০-৪) সেটে। চার ঘণ্টা ২০ মিনিটের লড়াই শেষে নাদাল জিতলেও ২৪ বছরের ফ্রিৎজের বিরুদ্ধে প্রচুর ঘাম ঝরাতে হয়েছে তাঁকে। বুধবার সেই ম্যাচ জিতে উঠেই নাদাল বলেছিলেন যে, সেমিফাইনালে তাঁর খেলা নির্ভর করছে তাঁর চোট কতটা গুরুত্বর তার উপর।
নাদাল বলেন, “সেমিফাইনাল খেলব কি না, সেটা বলতে পারছি না। আমার কাছে কোনও সঠিক উত্তর নেই। যদি আগামী কাল যদি কিছু ঘটে যায় আমি মিথ্যেবাদী হয়ে যাব।”
কিন্তু শেষরক্ষা হল না। শেষপর্যন্ত খেলা থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি।