অমরনাথে cloud burst-এ মৃত বারুইপুরের ছাত্রী, আটকে প্রায় ৭৫ তীর্থযাত্রী
অমরনাথে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির পর বারুইপুরের ছাত্রী বর্ষা মুহুরি মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও আটকে রয়েছেন এরাজ্যের প্রায় ৭৫ জন তীর্থযাত্রী। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই অর্থে একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছে যার নম্বর ০৩৩ ২২১৪৩৫২৬।
বর্ষা মুহুরি পিএইচডি পাঠরতা। গত ১ জুলাই মা নিবেদিতা মুহুরি ও মামা সুব্রত চৌধুরীর সঙ্গে অমরনাথের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। উজ্জ্বল মিত্র ও তাঁর স্ত্রী-কন্যা ও উদয় ঘোষ নামের আরও এক ব্যক্তি ছিলেন ওই দলে। মুহুরি পরিবারের এক আত্মীয় বলেন, শুক্রবার উদয়বাবু ফোনে জানা যায় বর্ষার মৃত্যুর কথা। উদয়বাবুরা প্রশাসনিক সাহায্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
উল্টোডাঙার মানিকতলা হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা দীপেন্দু রায় ৫ জুলাই অমরনাথ যাত্রা করেছিলেন। শনিবার সকালে তিনি পরিবারকে ফোনে জানিয়েছেন, নিরাপদে আছেন। এই ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা বিমল মণ্ডল, মনোজ মিত্র, প্রদীপ সিং ও সন্দীপ সিং’রা একসঙ্গেই গিয়েছিলেন অমরনাথে। লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়ির বাসিন্দা বিপুল ঘোষ ও লক্ষ্মণ রায়ের পরিবারের ফোনে শেষ কথা হয় তাঁর ছেলের। এরপর ফোন কেটে যায়।
বারাসতের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পাইওনিয়ার ও ন’পাড়া এলাকার মোট ১০ জন অমরনাথে গিয়ে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েন। তাঁদের মধ্যে একজন প্রবল স্রোতে ভেসে গেলেও পরে সেনাবাহিনী তাঁকে উদ্ধার করে শ্রীনগরের হাসপাতালে ভর্তি করেছে। বাকিরা সুস্থ রয়েছেন।
হাওড়ার মধুসূদন বিশ্বাস লেনের বাসিন্দা শীলা সিং তাঁর দুই মেয়ে ঝুমা ও প্রীতিকে নিয়ে ২ জুলাই অমরনাথের পথে রওনা দিয়েছিলেন। ১৫ তারিখ তাঁদের ফেরার কথা ছিল। শুক্রবার প্রীতি ফোনে এক আত্মীয়কে বলেন, মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে অবশ্য বাকি দু’জনের হদিশ মেলে। এনডিআরএফের টিম তাঁদের উদ্ধার করেছে। এছাড়াও এই জেলার আরও ৯ জন আটকে রয়েছে বলে খবর। ধূপগুড়ি ও জলপাইগুড়ির বিভিন্ন অংশ থেকে অমরনাথে গিয়েছিলেন ২২ জন। প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছেন।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বাঁকুড়া ও বীরভূম থেকে যথাক্রমে জ্যোত্স্না পাল এবং প্রদীপকুমার বাগদি সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির ১০ জন এখনও আটকে রয়েছেন সেখানে। তবে তাঁরা সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের সাতজন আটকে থাকলেও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা গিয়েছে। তাঁরা নিরাপদেই রয়েছেন।
কপাল জোরে বেঁচে গিয়েছেন পুরুলিয়ার ৭১ জন তীর্থযাত্রী। ভয়াবহ বৃষ্টি ও ধসের আগের দিনই তাঁরা নিরাপদে নেমে আসতে পেরেছেন।