মহিলা কর্মী থেকে সিসিটিভি, জাস্টিস রিপোর্টে প্রকাশ্যে দেশের পুলিশ বিভাগের ঘাটতি
দেশে মহিলা পুলিশ কর্মীদের ঘাটতি রয়েছে, পরিসংখ্যান এমনটাই জানাচ্ছে। গোটা দেশের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে মহিলা পুলিশ কর্মীর সংখ্যা মোটে ১০.৫ শতাংশ। শুক্রবার ৮ জুলাই ইন্ডিয়া জাস্টিস রিপোর্টে প্রথম পুলিশ বিভাগ সম্পর্কে নানা তথ্য উঠে এসেছে। আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে, দেশের প্রতি তিনটি থানার মধ্যে কেবলমাত্র একটিতেই পরিষেবা রয়েছে। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, দেশের ১৭ হাজার ২৩৩টি থানায় আদৌ কোন সিসি ক্যামেরা নেই। পুলিশবাহিনীতে তপশিলি জাতি ও উপজাতির মানুষদের নিয়োগ থেকে সাইবার সেল, প্রতি ক্ষেত্রেই অজস্র ঘাটতি! পুলিশ বিভাগ চলছে গদাইলস্করি চলে।
দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা থেকে শুরু করে আইন শৃঙ্খলা সবটাই নির্ভর করে দেশের পুলিশ বিভাগের উপর। সেই পুলিশ বিভাগের উন্নয়নের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হয়। কিন্তু তারপরেও নিয়োগ থেকে থানার পরিকাঠামো সবেতেই কী করে এত খামতি থেকে গেল? ইতিমধ্যেই নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। ২০২১ সালের পুলিস অর্গানাইজেশনের তথ্য অনুযায়ী, বিগত বছরের জানুয়ারি অবধি গোটা দেশে মোটে ৪১ শতাংশ থানায় মহিলা হেল্পডেস্ক পরিষেবা রাখা গিয়েছে। এখনও গোটা দেশে সাইবার সেল তৈরি করা যায়নি। মাত্র ১৪টি রাজ্যে সাইবার সেল রয়েছে।
২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মহিলা কর্মীসহ সব ধরনের নিয়োগ এবং সামগ্রিক পুলিশি ব্যবস্থার নানা ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। পুলিশে মহিলা কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে তামিলনাড়ু, সে রাজ্যে মহিলা পুলিশের পরিমাণ ১৯.৪ শতাংশ। দেশের অন্য রাজ্যগুলির হার আরও কম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশেও মহিলা পুলিশ কর্মীর সংখ্যা ১২.৪ শতাংশ।
ফলাও করে প্রচার করা হয়, পুলিশবাহিনীতে মহিলাদের ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ রাখা রয়েছে। দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলো মিলিয়ে পুলিশবাহিনীতে মহিলা কর্মীর সংখ্যা কেবলমাত্র ১০.৫ শতাংশ। ওই ৩০ শতাংশে পৌঁছতেই তিন দশক সময় লেগে যাবে।