অনলাইনে আবেদন করেই রাজ্যের থেকে আর্থিক সাহায্য পাবে হোম স্টেগুলো
করোনা ধাক্কা সামলে একটু একটু করে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন। ভ্রমণপ্রেমী বাঙালিও ঝাঁপিয়ে পড়েছে বেরোতে। এখন পর্যটকদের মধ্যে হোম স্টে নিয়ে বিশেষ আকর্ষণ দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে হোম স্টে-কেই পাখির চোখ করছে রাজ্য। সুন্দরবন থেকে দার্জিলিং; পর্যটকদের মধ্যে হোম স্টের চাহিদাও গগনচুম্বী। হোম স্টেগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য। হোম স্টেগুলির পরিকাঠামোর বিকাশে রাজ্যের তরফে দেড় লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু আর অফলাইনে নয়, সাহায্যের জন্য অনলাইনেই আবেদন করতে হবে। সাহায্যের আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করার জেলার অধিকারীদের ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের পর্যটন সচিব।
আবেদন খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সশরীরে হোম স্টে পরিদর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা কী রকম তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে হোম স্টের পুলিশ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোন হোম স্টেতে আগে কোন অপরাধমূলক ঘটনা ঘটে থাকলে তাদের আর্থিক সাহায্য পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে, সেই সব দিক খতিয়ে দেখতে নির্দেশ হয়েছে।
এই মুহূর্তে রাজ্য বেশি সংখ্যায় হোম স্টে গড়ে তোলার উপর জোর দিচ্ছে, লক্ষ্য কর্মসংস্থান বাড়ানো। বর্তমানে রাজ্যে ১০০০-এর বেশি হোম স্টে রয়েছে, কালিম্পঙে রয়েছে ৫০০টি , দার্জিলিং জলপাইগুড়িতে প্রায় ৩০০ টি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রায় ১৪০ টি হোম স্টে রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার নদী তীরবর্তী টাকি, হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায় হোম স্টে গড়ে তোলার আবেদন এসেছে বলেও শোনা যাচ্ছে। এই অবস্থায় হোম স্টে গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে রাজ্য। বাংলার হস্তশিল্পের উন্নতির জন্যে পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে আনন্দধারা ও সৃষ্টিশ্রী বিপণি খোলার বিষয়ে আগ্রহী রাজ্য।